ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, চলমান ভোটগণনায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছ থেকে পিছিয়ে আছেন কেজরিওয়াল। ফলে দিল্লির ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে গেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন প্রবেশ ভার্মা। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি শিগগিরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
২০১৩ সাল থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির আসনটি ধরে রেখেছিলেন। এক দশক আগে তিনি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে পরাজিত করে আম আদমি পার্টির এক দশকের শাসনের সূচনা করেছিলেন।
অন্যদিকে জঙ্গপুরা আসনে ৬৭৫ ভোটে হেরে গেছেন আম আদমি পার্টির আরেক শীর্ষ নেতা মণীশ সিসোদিয়া। এই দুই হেভিওয়েট নেতার পরাজয় যেন গোটা আম আদমি পার্টিরই পরাজয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য লড়াই করে লজ্জাজনকভাবে হেরে গেলেন কেজরিওয়াল। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগণনার ফলাফলে দেখা গেছে, দিল্লির বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে এগিয়ে আছে বিজেপি। অন্যদিকে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি এগিয়ে আছে ২২টি আসনে। ফলে দীর্ঘ ২৭ বছর পর দিল্লি জয় করতে যাচ্ছে বিজেপি।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকেই ভেবেছিল, এবার কংগ্রেস হয়তো জোট বাঁধবে আম আদমি পার্টির সঙ্গে। ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, কংগ্রেসকে ১৫টি আসন দেবে আপ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ঘটেনি। কেজরিওয়াল নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘আম আদমি পার্টি দিল্লির নির্বাচনে নিজের শক্তি অনুযায়ী একাই লড়বে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার কোনো সম্ভাবনা নেই।’ শেষ পর্যন্ত তাই হয়। আপ একা লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত বুধবার দিল্লি বিধানসভার ৭০টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে পোস্টাল ব্যালটের গণনা
পরাজয় মেনে নিয়েছেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে আমরা জনগণের এই রায় গ্রহণ করছি। বিজেপিকে এই জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই এবং আমি আশা করি তারা সেই সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে যার জন্য মানুষ তাদের ভোট দিয়েছে।