সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, “২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার যে আকাঙ্ক্ষা মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, সেই আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে যখন অগ্রসর হওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, তখন কতগুলো কর্মকাণ্ড সামগ্রিক পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।
পতিত স্বৈরাচার , ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা-আওয়ামী লীগ বিদেশে বসে, এমন কতক উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে যা আন্দোলনকারী শক্তিসহ দেশের মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এসব ঘটনাকে সামনে রেখে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের অংশ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িসহ নানা জায়গায় ভাঙচুর, বুলডোজার ব্যবহার এবং এসব বিষয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা পুরো পরিস্থিতিকে সংকটপূর্ণ করে তুলেছে। দেশে কোন সরকার থাকা অবস্থায় এ ধরনের ঘটনা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
আমরা সারাদেশে জানমালের নিরাপত্তা বিধান, ভয়ের আবহাওয়া সৃষ্টির পুনরাবৃত্তি না হতে দিয়ে সকলের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে দৃশ্যমান ভূমিকা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা থাকলে পুরো ঘটনা আরো জটিল হয়ে পড়বে । যা গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার ও নানা শক্তিকে অপতৎরতা চালানোর সুযোগ করে দেবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দল, শক্তি ও দেশের সচেতন মহলকে সব ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ থেকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন ফ্যাসিবাদ মোকাবেলায় ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড নয়, রাজনৈতিকভাবেই সকল ধরনের ফ্যাসিবাদকে মোকাবেলা করতে হবে।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি ০৬.০২.২০২৫)