সোমবার (২৭ জানুয়ারি ২০২৫) পুরানা পল্টনে নোয়াখালী টাওয়ারে ইসলামী আন্দোলনের দলীয় কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ছিলেন।
চরমোনাইয়ের পীর রেজাউল করীমের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব ইউনুস আহম্মেদ সেখ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান ও সহকারী মহাসচিব ইমতিয়াজ আলম।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি বরিশালে চরমোনাই পীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
বৈঠকে নেওয়া যৌথ সিদ্ধান্তগুলো হলো:
১. আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম টেকসই গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।
২. দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
৩. ভোটাধিকারসহ সব মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।
৪. ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
৫. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং সব অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা।
৬. আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা।
৭. ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা না বলা।
৮. আগামীতে যাতে আওয়ামী লীগের মতো কোনও ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকা।
৯. ইসলামি শরিয়াহবিরোধী কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া এবং ইসলামবিরোধী কোনও কথা না বলা।
১০. প্রশাসনে বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা।