সোমবার রাজধানীর মালিবাগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের প্রধান ফটকে এ সংক্রান্ত নোটিস টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, “ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যা ২০-০১-২০২৫ ইং তারিখ থেকে কার্যকর হবে।“
৩৩ বছরের পুরনো এই প্রত্রিকা বন্ধের খবর নিশ্চিত করে ভোরের কাগজের নির্বাহী সম্পাদক এ কে সরকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “যা শুনেছেন তা ঠিক আছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলব।”
পত্রিকাটির মালিক ছিলেন আওয়ামী লীগের এমপি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী সাবের হোসেন চৌধুরী। মালিক পক্ষের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিকে দখলদারিত্বের হাত থেকে রক্ষা করতে এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।’
পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন শ্যামল দত্ত। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৬ সেপ্টেম্বর তাকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত থেকে আটক করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
এ দিকে, ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওসার জানান, অষ্টম ওয়েজ বোর্ডের বেতন স্কেলের সব সুযোগ সুবিধা এবং সমস্ত বকেয়া বেতনসহ সার্ভিস বেনিফিটের দাবি নিয়ে তারা গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। মালিকপক্ষকে তাদের দাবিনামাও দিয়েছিলেন জানিয়ে। এর মধ্যে হঠাৎ করে পত্রিকা বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ।
জানা গেছে, কয়েক দিন ধরেই ভোরের কাগজের কয়েকজন সংবাদকর্মী অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন দাবি এবং তাদের নিয়োগের তারিখ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য আন্দোলন করছিলেন। গতকাল রবিবার সংবাদকর্মীদের একটি অংশ সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা এবং বহিরাগতদের নিয়ে ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মালিকপক্ষ নোটিশটি জারি করে।
১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘মুক্তচিন্তার দৈনিক’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলা এ দৈনিক।