রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে প্রকাশিত এ ফলাফলে সুশোভন বাছাড় সর্বোচ্চ নম্বর ৯০.৭৫ পেয়ে প্রথম হয়েছেন। তিনি খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী।
সুশোভন বাছাড়ের বাবার নাম সুভাষ চন্দ্র বাছাড়। তার পরিবারসহ নগরীর বয়রা এলাকায় থাকেন। বাবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক। মা গৃহিণী। সুশোভন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।
সুশোভনের বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় বলেন, ‘আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবে। কিন্তু সে জন্য কোনো একাডেমিক কোচিংয়ে পড়ানো হয়নি। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বলেছিল ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবে। সেটাই হয়েছে। প্রথম হবে এটা ভাবিনি। তবে চান্স পাবে জানতাম।’ তিনি বলেন, ছোট থেকে সুশোভন বিভিন্ন ধরনের বই পড়ত।
সুশোভন বাছাড় জানান, ‘আমি কখনো টাইম হিসেব করে পড়াশোনা করিনি। রাত জেগে কখনো পড়িনি। এটাকে সাপোর্টও করি না। পড়ার বাইরে খেলাধুলা করতাম। তবে আমি বই পড়া খুব পছন্দ করি। গল্প, উপন্যাস থেকে শুরু করে সায়েনস ফিকশন, থ্রিলার-জাতীয় বই আমার খুব প্রিয়।’
সুশোভন বলেন, ‘ফার্স্ট হওয়া দেখে আমার প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল এটা ভুল। ছোটবেলা থেকেই আমার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা। এই পেশাটাকে আমার অন্যরকম ভালো লাগে। মনে হতো আমি যদি তাঁদের মতো হতে পারতাম। সেভাবেই পড়াশোনা করি।’ কুয়েটেও চান্স পেয়েছে সুশোভন।
ফলাফল প্রকাশের পর থেকে সুশোভনের বাড়িতে আনন্দের বন্যা বইছে। বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ তাঁদের বাড়িতে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন।