সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
লন্ডনে বাংলায় স্টেশনের নাম নিয়ে ব্রিটিশ এমপির ক্ষোভ!  » «   বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে কিছু উন্নতি : ফিলিস্তিন-লিবিয়ার অবস্থানে বাংলাদেশ  » «   সমাজসেবী হাজী আব্দুর রহমানের ইন্তেকাল  » «   বাংলা একাডেমির ‘আদব-কায়দা’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সলিমুল্লাহ খান  » «   সুরভি-র ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন  » «   বরের পিতা আওয়ামী লীগ নেতা, চট্টগ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে ‘মব’ তাণ্ডব  » «   বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ৬৩ যুগলের যৌতুকবিহীন গণবিয়ে  » «   মার্কিন অর্থায়ন বন্ধের প্রভাব : আইসিডিডিআর,বি’র সহস্রাধিক কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে  » «   ‘মধুচন্দ্রিমা শেষ’, প্রত্যাশার চাপ বাড়ছে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর: আইসিজি  » «   সবচেয়ে দরিদ্র জেলা মাদারীপুর, ধনী নোয়াখালী  » «   হেলিকপ্টারের সঙ্গে বিমানের সংঘর্ষ : ৬৪ জন যাত্রী ও ক্রুর ভাগ্যে কী ঘটেছে  » «   ভারতীয় বিতর্কিত সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’: শেখ মুজিবের মুখে এ কী সংলাপ? : ব্রিটেনে বিক্ষোভ  » «   প্রধান উপদেষ্টাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি  » «   চরমোনাই পীরের অফিসে গিয়ে মির্জা ফখরুলের বৈঠক: ফ্যাসিবাদী শক্তি ঠেকাতে ঐক্যমত  » «   স্থগিত হওয়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রত্যাখান সেলিম মোরশেদের  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

প্রতিদিন ফ্যাসিবাদ পুনরুৎপাদিত হচ্ছে: সলিমুল্লাহ খান



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এক আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও ‘ফ্যাসিবাদ’ যে নানারূপে, নানাভাবে বিদ্যমান, সে কথা তুলে ধরে সতর্ক করেছেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেছেন, “প্রতিদিন ফ্যাসিবাদ পুনরুৎপাদিত হচ্ছে। ফ্যাসিবাদ আশপাশে আছে, তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি ২০২৫) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদের জমানায় শিকারি সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এক সভায় কথা বলছিলেন সলিমুল্লাহ খান। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সভাপতিত্বে এ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলমও বক্তব্য দেন।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, “শিকারি সাংবাদিকতায় যারা টার্গেটেড হন, তারা প্রত্যক্ষ শিকার। কিন্তু পরোক্ষ শিকার হচ্ছে সবাই। আসলে এদেরকে মেরে অন্যদের শিক্ষা দেওয়া হয় যে ‘তোমরা সীমানার বাইরে যাবে না’।”

তিনি বলেন, “সাংবাদিকতার পেছনে আছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বিশ্ববিদ্যালয়, রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র সবগুলো হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে জনমত আদায় করার প্রচেষ্টা। বিগত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কী ভূমিকা পালন করেছে এটারও সমালোচনা দরকার, বিচারের মুখোমুখি করা দরকার।”

১৯৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের একশ বছর উপলক্ষে সব পত্রিকা বিশেষ ক্রোড়পত্র বের করলেও ২০০৭ সালে ১৫০ বছরে পত্রিকাগুলো ‘তেমন কিছু লেখেনি’ বলে মন্তব্য করেন সলিমুল্লাহ খান।
তিনি বলেন, “গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ফকির মজনু শাহের নামে সেতুর নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। কাজেই ফ্যাসিবাদ প্রতিদিনের আদলে দেখতে না পেলে এটাকে সরানো যাবে না।”
এ আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন।

তিনি বলেন, “বিগত সময়ে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের ব্যক্তিজীবন ঘিরে হেনস্তা, গুলশানে মুনিয়া হত্যাকাণ্ডে সায়েম সোবহান আনভীরের সম্পৃক্ততা, পরিমনির বাসায় মধ্যরাতে র্যাবের অভিযান এবং সেটি টেলিভিশনে লাইভ সম্প্রচার কিংবা স্বাধীনতা দিবসে মাছ মাংসের স্বাধীনতা শীর্ষক প্রথম আলোর ফটোকার্ড– প্রভৃতি ঘটনা শিকারি সাংবাদিকতার অন্যতম উদাহরণ।”
অধ্যাপক মামুন বলেন, “ভারত বিরোধিতার কারণে এবং শেখ হাসিনার কথা না শোনায় মামুনুল হকের ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করে তাকে যেভাবে সেদিন হেনস্তা করে মিডিয়ায় চরিত্রহনন করা হয়েছিল, মুনিয়া এবং তার বোনকে অর্থলোভী সাব্যস্ত করা, পরিমনিকে কুৎসিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

“প্রতিটা কেইসে কোনো না কোনোভাবে মিডিয়ার একটি অংশ শিকারি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। যাতে মুহূর্তে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ডিলেজিটিমাইট করা সম্ভব এবং তাকে অপরাধী করে ক্রিমিনালাইজ করে শাস্তি দেওয়া সম্ভব। এ ধরনের সাংবাদিকতায় মিডিয়া, গোয়েন্দা সংস্থা এবং সরকারের একটা অংশ একসঙ্গে কাজ করে।”

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ বলেন, “২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনে তারেক রহমানের সঙ্গে আমার একটি সাদামাটা ফোনালাপ ফাঁস করে প্রায় প্রত্যেকটা টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে, টকশো করা হয়েছে যেন আমি বড় কোনো অপরাধ করে ফেলেছি। কারো ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করে সেটি প্রচার করা আইনসিদ্ধ কিনা আমার জানা নেই। তবে এখন আশাকরি অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “এ ধরনের সাংবাদিকতা সাংবাদিকতায় দুর্বৃত্তায়নের রাজনৈতিক অর্থনীতি বলা যায়। এর ভয়াবহতা সবাই বুঝি। ফলে যার যার অবস্থান থেকে সতর্ক থাকতে হবে।”

মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা ও লাঞ্ছনার তীব্র প্রতিবাদ লন্ডনে। 52Bangla TV

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন