বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের দোয়া ও ইফতার মাহফিল  » «   কানাডা যাত্রায়  ইমিগ্রেশন বিড়ম্বনা এড়াতে সচেতন হোন  » «   ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন ক্যানসারে আক্রান্ত  » «   যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজাবাসীদের সাহায্যার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের অনুদান  » «   বড়লেখায় পাহাড়ি রাস্তা সম্প্রসারণে বেরিয়ে এলো শিলাখণ্ড  » «   মাইল এন্ড পার্কে ট্রিস ফর সিটিস এর কমিউনিটি বৃক্ষরোপণ  » «   রয়েল টাইগার্স স্পোর্টস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন  » «   গোলাপগঞ্জ স্যোশাল এন্ড কালচারাল ট্রাস্ট ইউকে’র সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন  » «   যুক্তরাজ্যবাসি  সাংবা‌দিক সাইদুল ইসলামের পিতা আব্দুল ওয়াহিদের ইন্তেকাল  » «   ইউকে বাংলা রিপোটার্স ইউনিটি‘র নতুন কার্যকরী কমিটির অভিষেক  » «   রোটারিয়ান মোহাম্মদ খতিবুর রহমান বার্লিন যাচ্ছেন  » «   টাওয়ার হ্যামলেটসের নতুন বাজেটে হাউজিং, শিক্ষা, অপরাধ দমন, তরুণ, বয়স্ক ও মহিলাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচিতে বিপুল বিনিয়োগ প্রস্তাব  » «   আজীবন সম্মাননা পেলেন সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই  » «   লন্ডন বাংলা স্কুলের আয়োজনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত  » «   লন্ডনবাসী প্রবীণ মুরব্বী জমির উদ্দিন( টেনাই মিয়া)র ইন্তেকাল  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় : এটা কোন ছোট  গল্প নয়



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ভেবেছিলাম শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় এর সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে কিছু লিখবো না । ১২/ ১৩ দিনের ক্রিয়া কাণ্ড ,ছাত্রী হলে প্রভোস্টের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ,তারপর পদত্যাগ ,পরবর্তীতে ভিসিকে ঘেরাও ,ক্যাম্পাসে ছাত্র- পুলিশ সংঘর্ষ ,পরবর্তীতে অনশন এবং ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবি -আমাকে ভাবায়। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া সিলেট অঞ্চলের প্রায় পঞ্চাশ লাখ প্রবাসীর মতো আমিও উদ্বিগ্ন ।

সিলেট অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় এর কথা বলতে গেলেই একটি আবেগ অনুভূতি কাজ করে । চোখের সামনে চলে আসে আমাদের পূর্ব পুরুষদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সংগ্রামের কাহিনী । চোখ ভিজে আসে । ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় ইউরোপের অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজের আগে সিলেট অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব ছিল । অক্সফোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয় ১০৯৬ এবং ক্যামব্রিজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১২০৯ খৃস্টাব্দে । আর সিলেট অঞ্চলের মৌলভীবাজার এর জুড়ির চন্দ্রপুরে ৯৩৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায় । যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চন্দ্রবংশীয় রাজা শ্রী চন্দ্র । পরবর্তীতে ভারতবর্ষের সবচেয়ে পুরনো নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুর্কি আক্রমণে এই বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ।

ব্রিটিশ ভারতে ১৮৭৪ সালে আসাম নামে একটি নতুন প্রদেশ গঠন করা হয়।  বৃহত্তর বাংলার তিনটি জেলা- সিলেট, কাছাড় ও গোয়ালপাড়া নিয়ে গঠিত হয় । খুব বেশি সময় যেতে না যেতে এই প্রদেশ পরিচিত হয়ে উঠে ‘চা প্রদেশ’ হিসেবে। রাজনীতি, প্রশাসন, অর্থনীতি ও শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সিলেটের বাঙালিরা অনেক বেশি এগিয়ে থাকলেও উপেক্ষিত হলো সিলেট অঞ্চলের মানুষের শিক্ষার আকাঙ্খা। একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন । ১৯০৫ সিলেটকে আবার বাংলার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে যুক্ত করা হয় এবং ১৯১২ সালে পুনরায় আসামের সাথে একীভূত করা হয়। ব্রিটিশ ভারতের সবচেয়ে অগ্রসরমান অঞ্চল হিসাবে সিলেটের বাঙালিরা আসামের চেয়ে হাজার গুণ এগিয়ে ছিল বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষায়। এই ভাঙ্গা গড়ায় খেলায় সিলেটের  বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন ঝাপসা হয়ে যায় । ১৯২০ সালে সিলেটের ব্রজেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী- যিনি আসাম আইনসভার মেম্বার ছিলেন ।  সুস্পষ্টভাবে তিনি বলেছিলেন, ’আসামের জন্য যে অর্থ ব্যয় হবে সিলেটিরা কেন সে খরচ বহন করবে আর সিলেটিরা কোন শর্তে সিলেটের পরিবর্তে আসামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে সম্মত হবে।’

১৯২১ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই সময় থেকেই আসাম প্রদেশের মানুষ জন বিশেষ করে সিলেটের মানুষরা একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল। ১৯২৫ থেকে ১৯৩৮ পর্যন্ত বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেও তা সফল করা যায়নি। ১৯৪০ এর পর তখনকার শিক্ষামন্ত্রী মুনাওর আলী ‘শ্রীহট্ট বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। কিন্তু কিছু অসমিয়রা প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এবং তা নাকচ করে দেয়। ১৯৪৬ সালের শেষ পর্যন্ত অনেক নাটকীয় পর্বের শেষে তা আসাম ব্যবস্থাপনা পরিষদে গৃহীত ও পাস হয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালে সিলেট গণভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হওয়ার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় সিলেটি বাঙালিদের জন্য । প্রস্তাবিত সিলেটের এই স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় গৌহাটিতে স্থাপিত হয়।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর  ১৯৬২ সালের শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনের পাশাপাশি সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আন্দোলন অব্যাহত থাকে । সিরাজুন্নেসা চৌধুরী (প্রয়াত স্পিকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর মা) এই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। যে হলের ছাত্রীরা আজ ভিসি বিরোধী আন্দোলন করছেন । বিভিন্ন তরফ থেকে আশস্ত করার পর ও ১৯৬৪ সালে ফজলুল কাদের চৌধুরীর ইশারায় ও ধূর্ততায় বিশ্ববিদ্যালয়টি চট্রগ্রামে স্থাপন করা হয়।

১৯৬২ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গেছে পূর্ব পাকিস্তানের এই অংশে (সিলেট) বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্ন বাস্তবে আসেনি। দেশ স্বাধীন হবার পর আমরা যখন নিজস্ব ভূখণ্ড পেলাম তখন আবার ও উচ্চারিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। আশির দশকে জিয়াউর রহমান সিলেট সফরে এলে সিলেটবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। কিন্তু তা বাস্তবে রূপ নেয়নি।

এরশাদ এর সময় সিলেটে  এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তুঙ্গে ছিল । এরশাদ সিলেটে না আসতে পারলেও হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি নেপথ্যে বিরোধী ছাত্রনেতাদের  ম্যানেজ করে এরশাদকে সিলেট আনেন এবং। [এবং তৎকালীন জাতীয় পার্টি ও নতুন বাংলা ছাত্র সমাজ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তুলান যাতে ইস্যু চাপা না পড়ে ।ওই সময় আমাদের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের  এক বড় ছাত্রনেতা রাজপথ ছেঁড়ে জাতিসংঘ গেছেন তাঁর উপটৌকন  হিসেবে । বলতে গেলে হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর একক প্রচেষ্টায় ও জোরালো ভূমিকার জন্য সিলেটে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় ।

শুনা যায়,  এর কয়েক মাস পরই এরশাদ সাহেবের সৌদীতে রাষ্ট্রীয় সফর ছিল । ওমরাহ পালনের জন্য প্রেসিডেন্ট এরশাদ যখন ক্বাবায় গেলেন, সাথে সফর সঙ্গী ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। প্রেসিডেন্ট এরশাদের সম্মানে ক্বাবা ঘর খুলে দেওয়া হলো। ক্বাবা ঘরে ঢুকে ২ রাকাত নামাজ আদায়ের পর হুমায়ুন রশীদ সাহেব এরশাদকে বললেন, সিলেটের একটি দাবির কথা বলেছিলাম, আপনি ‘ করে ‘ দেওয়ার ওয়াদা করেছিলেন। কথা দিন দেশে ফিরে প্রথম এ কাজটি করবেন। এহরাম পরিহিত এরশাদ সাহেব বিস্ময়ের সুরে বললেন, এটা কী এসব আলোচনার জায়গা? নাছোড়বান্দা হুমায়ুন  রশীদ চৌধুরী বললেন, এখানে কথা দিন দেশে ফিরেই সিলেটে ইউনিভার্সিটি স্থাপনের কাজ শুরু করবেন। এরশাদ সাহেব কথা না বাড়িয়ে বললেন, তাই হবে। হুমায়ুন রশীদ সাহেব স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন। দেশে ফেরার সময় ফ্লাইটে এরশাদ সাহেব হুমায়ুন রশীদ সাহেব কে বললেন, ক্বাবা ঘরের ভিতরে কেন আমাকে ওয়াদা করালেন? হুমায়ুন রশীদ সাহেব জবাব  নানামুখি চাপে আপনি পিছিয়ে পড়তে পারেন এই ভয়ে। এরশাদ সাহেব মুচকী হেসে বললেন, আপনি দেশে গিয়েই সাইট সিলেকশনের কাজে লেগে যান।

১৯৮৬ সালের ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা ও স্থান নির্ধারণ করে গঠিত কমিটি রির্পোট প্রদান করে। ১৯৮৬ সালের ৩০ এপ্রিল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সিলেট সফরে এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তার স্থাপন করেন। হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী দীর্ঘদিন সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত থাকায় এবং সাবলীল আরবি বলায় অনেক রাজপরিবারের সদস্যদের সাথে ঘনিষ্টতা গড়ে উঠে । তাঁরই ধারাবাহিকতায় সৌদি অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলে তিনি শাহজালাল এর মাজার দেখানোর নাম করে এই সাইটটি হ্যালিকপ্টারে তাকে দেখান । এইভাবেই সৌদি সাহায্যে গড়ে উঠে সাইন্স ফ্যাকাল্টি । কতজন মনে রেখেছে হুমায়ুন রসীদ এর কথা ? তখনো ‘ভাত‘ রে ‘অন্ন’ বলার কাহিনী সিলেটে আসেনি।

খ.

লেখাটি অনেকটা লম্বা হয়ে যাচ্ছে । ইতিহাস একটু বলতে হচ্ছে এই কারণে যে, সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলতে গেলেই একটা আবেগ চলে আসে । এর সাথে জড়িত আছে সিলেটবাসীর প্রায় শত বৎসরের আন্দোলন , সংগ্রাম , ত্যাগ । আমাদের স্কুল থেকেও আমরা মিছিলে গিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে । আর এম সি কলেজকে তো পুরো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন মনে করেছি । অনেকেই তা ভুলে যায় । সেদিন পূর্ব লন্ডনে এক প্রবীণ মুরুব্বি আলতাব আলী পার্ক দেখিয়ে বললেন , ‘লন্ডনে অনেকে এখন আইসা ই কয় আমার বাংলা টাউন , আমার শহীদ মিনার , আমার ব্রিকলেন ,আমার আলতাব আলী পার্ক ।  ওরা জানে না এই পার্ক তো আর এমনি দেয় নাই । এই পার্কের ভিতর আলতাব আলী কে জবাই  হতে হয়েছে । এটা এরা হয় ভুলে গেছে, না হয় বলে না ।’  তাই মাঝ মাঝে ইতিহাস বলতে হয় ।

হল ভিত্তিক একটি ছাত্রী আন্দোলন কিভাবে এক দফার আন্দোলনে পরিণত হলো- সেটা প্রশ্ন বোধক ? রাত একটার সময় তাঁরা হলে ঢুকতে চায় । অথচ রাত ১০ তাঁর মধ্যে তাদের হলে ঢুকার রেস্ট্রিক্সন দেওয়া আছে । হলের প্রভোস্টের করোনা হয়েছে ।  পরিবার সহ আইসোলেসনে আছেন । অথচ থাকে আসতে বলা হয়েছে রাত বিরাতে । এটাই তাদের শিষ্টাচার । তাদের ভাষায় ‘ অসদাচারণ ‘ । এজন্য পদত্যাগ দাবি । মহিলা প্রভোস্ট পদত্যাগও করেছেন । ঘটনা এইখানেই শেষ হয়ে যেতে পারতো । না, তা হয়নি । ‘ জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’র একটি লক্ষ্য ছিল । সবাই জানে, ভিসিকে ’অবরুদ্ধ’  করে দুই ঘণ্টা বন্দী করলে তিনি পুলিশ ডাকেন । এর আগের ঘটনা কেউ বলে না । তাকে দৌড়ান ও শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করলে তিনি কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে গিয়ে পালিয়ে বাঁচেন । তারপর পুলিশ আসে । পুলিশ সেখানে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ  করলেও এটা  পাবলিক অর্ডার ইস্যু । জননিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ কে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয় পুলিশকে । উপাচার্য এখানে সিদ্ধান্ত দেন না ।

গ.

এখন আসি উপাচার্য ইস্যু । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে তিনি সাদা দল করতেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি জিয়া চেয়ারের সাথে জড়িত ছিলেন । এখন নীল দলের প্রধান খাম্বা । সব ঠিক আছে । সারা বাংলাদেশেইতো যারা আগে জামাত শিবির করতো, তারাইতো এখন আওয়ামী লীগ করে । পুরানো আওয়ামী লীগ রা এখন কোণঠাসা । দলে জায়গা নেই । প্রশ্ন হলো- তাঁর ব্যাপারে কি কোন নৈতিক স্খলন ও দুর্নীতির কোন অভিযোগ আছে কিনা ? উত্তর ঋণাত্মক । তাহলে এই ‘ ইগো ‘ কেনো ? কেন এক দফার আন্দোলন ? কেন ১৬৫ ঘণ্টার অনশন ? একজন ফেসবুকে লিখেছেন , ’নাটকে ফাঁসি হলে মিছিল হয় । প্রিয় খেলোয়াড় বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলার সুযোগ না পেলে হরতাল  হয়? সেটা কোন দেশ? বাংলাদেশ । আজব দেশ । কখন জানি স্বামী- স্ত্রী ঝগড়া বাধলে কেউ আবার হরতাল ডাকে কিংবা পিতা পুত্রকে শাসন করলে পিতার পদত্যাগের দাবীতে কখন অনশন শুরু হয় তাই ভাবছি।’

আরেকটা জিনিস আমার কাছে খুবই পজিটিভ লেগেছে- সেটা হলো আওয়ামী লীগ এটা খুব গুরুত্ব দিয়ে এটার রাজনৈতিক সমাধান করতে চেয়েছে । এজন্য প্রায় এক সপ্তাহ প্রায় না খেয়ে পড়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল  । ব্যাপারটাকে হ্যান্ডলিং করেছেন খুব নাইসলি । সহিংস রূপ পায়নি । লোকাল নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করেছেন । যার মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ , মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন , বিধান কুমার সাহা , আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী , ইলিয়াসুর রহমান ,কামড়ান আহমেদ , জুমাদিন প্রমুখ । বিশেষ করে অধ্যাপক জাকির হোসেন এর নির্ঘুম রাতের একটি ছবি ভাইরাল  হয়েছে ।

বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রায় ৫০০ এর মতো শিক্ষক আছেন । তাদের একজন শিক্ষকও নেই যে অনশনকারীরা ভরসা করতে পারে । চিন্তা করুন একজন শিক্ষা মন্ত্রী ঘণ্টা- ঘণ্টা আলাপ করছেন । জীবনে কি শুনেছেন এই দৃশ্য । আসলে এরা চেয়েছিলো ‘ ডমিনো ইফ্যাক্ট ‘ । বুঝিয়ে বলি , একটা পড়লে দশটা পড়বে । বুঝিয়ে বলি , একটা পড়লে দশটা পড়বে । ছেলেবেলায় আমরা মনে হয় সবাই খেলেছি- বাবার সিগারেট জমিয়ে । লাইন করে সাজিয়ে টোকা মেরেছি । বাচ্চারা যে অনেকগুলো সিগারেট এর বাক্স নিয়ে খেলে তা নিয়ে একটায় যে টোকা দেয় সেভাবে । সেটা ঘটেনি ।

লেখক : তাহমীম সৈয়দ হক , যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাবেক ছাত্রনেতা , আইনজীবি , কলামিস্ট ও কথা সাহিত্যিক ।  


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

"এই বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব " -সম্পাদক