মুরগি আগে, না ডিম আগে? যুগ যুগ ধরে এই তর্ক চলেছে। কিন্তু কোনটি আগে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই গিয়েছে।
পৃথিবীর একটা অংশের দাবি- মুরগি আগে এসেছে। আবার উল্লেখযোগ্য একটা অংশের দাবি, মুরগি নয়, ডিমই আগে।
একটা দার্শনিক মীমাংসা দিয়ে প্রায় শত বছর আগ থেকে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব ডিম দিবস। অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিনায় (Vienna) , ১৯৯৬ সালে শুরু হওয়া ওয়ার্ল্ড এগ ডে (World Egg Day)২০২১ সালের ৮ অক্টোবর পৃথিবীর ১০০টি দেশ একযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করেছে । WorldEggDay হেসট্যাগ নিয়ে এবার ১৮০ মিলিয়ন মানুষ উপভোগ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগে অনেকে ‘ডিম দিবস’ বন্দনা করে যুক্তি দেখিয়েছেন – মুরগী নয়, ডিমই আগে। তাদের যুক্তি হলো, পৃথিবী প্রকৃতপক্ষে কমলার মত নয়। ডিমের মত।
ত্রিভুবনের সৃষ্টিকর্তা সব কিছুর আগে মহাশূন্যে অসংখ্য ডিমই তৈরি করছিলেন। এবং পৃথিবীটাও ডিমাকৃতির। যদিও তারা বিজ্ঞাননির্ভর কোন প্রামানিক তথ্য দিয়ে এই যৌক্তির সারতা প্রমান করতে পারেননি বলে- মনে করা হয়।
তথ্য বলছে , ডিম আগে না মুরগি আগে – তা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে গবেষণা চলেছে। সম্প্রতি সেই রহস্যের সমাধান করেছেন এক দল গবেষক। তাঁদের দাবি- ডিম নয়, মুরগি-ই আগে। এবং সেটা প্রমাণ সহ প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁরা।
ব্রিটেনের শেফিল্ড এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা চালানোর পর সেই ধাঁধার উত্তর খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। গবেষকদের দাবি- ডিমের মধ্যে যে সাদা অংশটি থাকে ,তাতে ওভোক্লিডিন অর্থাৎ (ওসি-১৭) নামে প্রোটিন থাকে। ডিমের সৃষ্টিতে এই প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর এই ওভোক্লিডিন প্রোটিন মুরগির গর্ভাশয়ে পাওয়া যায়।
গবেষকদের দাবি, এর থেকে প্রমাণিত যে, প্রথমে মুরগি এসেছে। তারপর তার গর্ভাশয়ে ওভোক্লিডিন প্রোটিন তৈরি হয়েছে। সেই প্রোটিন থেকেই ডিমের সৃষ্টি।
তবে এনিয়েও ‘ডিম আগে‘- এই যুক্তির অনেক সমালোচক সামাজিক যোগাযোগে চটে আছেন! তারা বলছেন, গবেষণা থেকে জানা গেল— মুরগি আগে এসেছে। কিন্তু সেই মুরগি পৃথিবীতে প্রথম কী ভাবে এল ? তা নিয়ে কোনও জবাব দিতে পারেননি- গবেষকরা।