বাংলাদেশ বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ও প্রবাসে দেশীয় সংস্কৃতি এবং নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার চিরন্তন ঐতিহ্য তুলে ধরতে প্রতিবারের ন্যায় এবারও ঝাঁকজমক পূর্ণভাবে শীতকালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে মহিলা সমাজ কল্যাণ সমিতি ইতালী।
শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩ ঘটিকায় সুন্দরবন রেস্টুরেন্ট হলরুমে আয়োজিত পিঠা উৎসবে হাজির করা হয় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক লোভনীয় সুস্বাদু চিতই পিঠা, পাটিসাপটা, ফুলঝুরি, ডিম পিঠা, পাকন পিঠা, ছইপিঠা ও কুলিপিঠাসহ হরেক রকমের পিঠা।
অনুষ্ঠানে মহিলা সমাজ কল্যাণ সমিতির সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রবাসী নারীরা স্বপরিবারে ফাল্গুনি সাজে উপস্থিতিতে ব্যতিক্রমী এমন আয়োজন নজর কাড়ে উপস্থিত অতিথিদের। পিঠা উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রবাসী নারীরা একত্রিত হতে পেরে একে অপরের সাথে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন। এ যেন বিদেশের মাটিতে দেশীয় সাজে নারীদের ভিন্নমাত্রার অপূর্ব এক আয়োজন।
সংগঠনের সভাপতি লায়লা শাহ’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা শামীমা জামান এর প্রাণবন্ত পরিচালনায় আয়োজিত পিঠা উৎসবে অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ইতাল বাংলা উন্নয়ন ও স্বমন্নয় সমিতির চেয়ারম্যান শাহ মোঃ তাইফুর রহমান ছোটন, বৃহত্তর ঢাকা সমিতি ইতালীর সাবেক সভাপতি সেলিম আহমেদ, মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, ই পি বি এ ইতালী শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রবিন খান, বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী কাজী জাকারিয়া, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ফাহমিদা সুলতানা, নব জাগরন নারী কল্যাণ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা নয়না আহমেদ, উপদেষ্টা উম্মেহানি প্রিন্স, রিতা আক্তার, নারী নেত্রী মৌসুমী মৃধা, সাবিনা ইয়াসমিন, মন্তেভেরদে নারী কল্যাণ সমিতি ইতালী সভাপতি লিপি ইসলাম উপদেষ্টা জুবায়েরা খাতূন সহ ইতালীয়ান নাগরিক সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ সভাপতি নার্গিস হাওলাদার, সহ সভাপতি আখি সীমা কাউছার, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলি চৌধুরী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেনাস তাব্বাসুম শেলি সহ সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দদ।
উৎসবে অংশগ্রহণকারী অতিথিরা পরিবেশিত বিভিন্ন সুস্বাদু পিঠা উপভোগ করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশি পিঠার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, আমাদের প্রবাসী সন্তানরা যখন দেশীয় ইতিহাস ঐতিহ্য ভুলে পিৎজা ও ফার্স্ট ফুডের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে এই দেশীয় পিঠা উৎসব অবশ্যই প্রসংশনীয়। এই ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়নে মহিলা সমাজ কল্যান সমিতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস দেন অতিথিরা।