বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ইরানে আগেও সরকার হটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তার কী ফল হয়েছিল?  » «   ইরানে হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন ট্রাম্পের  » «   আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি কে, কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?  » «   ‘ইরান আত্মসমর্পণ করবে না’ : জাতির উদ্দেশে খামেনির ভাষণ  » «   ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে হট্টগোল, সংলাপে ফিরে জামায়াত বললো-ইউনূস ‘নিরপেক্ষতা’ হারিয়েছেন  » «   ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : রাশিয়া কোন পক্ষে?  » «   নির্বাচন হলেই তাদের বিপদ: জামায়াতকে ফখরুলের কটাক্ষ  » «   দশ মাস পরও ভাঙ্গা হচ্ছে ভাস্কর্য, ‘অঞ্জলি লহ মোর’ নিয়ে সমালোচনার ঝড়  » «   আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা  » «   লন্ডনের স্বাস্থ্যকর স্কুল অ্যাওয়ার্ড অর্জনে শীর্ষে টাওয়ার হ্যামলেটস  » «   “মেয়র’স ডিসঅ্যাবিলিটি রোড শো” অনুষ্ঠিত  » «   আমিরাতে হিজরি নববর্ষ উপলক্ষে ছুটি : পাবেন প্রবাসীরাও  » «   আমিরাতের ভিসা অনিয়মকারীদের মধ্যে ২৫ শতাংশের বেশি বাংলাদেশি  » «   মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার ফাঁসি  » «   তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় গুঁড়িয়ে গেল বাংলাদেশি কূটনীতিকের বাসভবন  » «  

বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অধিক সুরক্ষা দিতে সক্ষম:ব্রিটেন এগিয়ে



এন এইচ এস’র উদ্বুদ্ধকরণ: বুস্টার নিতে জনগণের প্রতি আহবান

ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন করে বিপর্যয় ডেকে এনেছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। ইউরোপের প্রায় সব দেশেই ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে অনেক দেশই নতুন করে আবারও লকডাউনে ফিরে যাচ্ছে বা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।

লন্ডনের অধিকাংশ করোনার কেসের পেছনে অতি সংক্রামক ওমিক্রনই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। এটি এখন পুরো ইউরোপেই ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে বেশিরভাগ দেশের সরকার নতুন বিধিনিষেধের কথা ভাবতে বাধ্য হচ্ছে।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে ব্রিটেনের সব ভ্রমণকারীর জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন জারি করেছে জার্মানি। গত শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে ব্রিটেনের সব পর্যটকের জন্য নিজেদের সীমান্ত বন্ধ রেখেছে ফ্রান্স। তবে ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে শুধু আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞাই যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে গত রোববার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে নতুন করে কঠোর লকডাউন জারি করেছে নেদারল্যান্ডস। আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। অন্যসব দেশেও কঠোর বিধিনিষেধ জারির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর একই দৃশ্য দেখা গেছে। তখনও অনেক দেশকেই নতুন করে বিধিনিষেধের আওতায় আসতে হয়েছে। মাঝের কিছু সময় পরিস্থিতি অনেকটাই ভালোর দিকে যেতে শুরু করেছিল। কিন্তু তার মধ্যেই আবারও নতুন ধাক্কা হয়ে এলো ওমিক্রন।

ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে কম গুরুতর হলেও (যা এখনও স্পষ্ট নয়) সামনের দিনগুলোতে সংক্রমণের কারণে গুরুতর রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। সংক্রমণের কারণে অনেক সম্মুখ সারির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারাও কাজ বন্ধ করে দিতে পারেন ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়তে পারে।

হাতে কিছু সময় পেতে এবং এই চাপ কমাতে ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকারের হাতে দুটি প্রধান অস্ত্র রয়েছে। একটি হলো- সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য বুস্টার ডোজ দেওয়া এবং অন্যটি হলো- সামাজিক যোগাযোগ সীমিত করা। এতে করে সংক্রমণ ধীর গতিতে হতে পারে বলে আশা করা যায়।

অনেক দেশেই বড় পরিসরে বুস্টার ডোজ শুরু হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পশ্চিম প্রান্তের বিভিন্ন দেশ করোনারোধী টিকার প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে ভালো অগ্রগতি দেখিয়েছে। পর্তুগালের প্রায় ৮৯ শতাংশ, স্পেনের ৮৩ শতাংশ, ফ্রান্সের ৮০ শতাংশ এবং ইতালির ৭৯ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। অপরদিকে ব্রিটেনের ৭৬ শতাংশ, জার্মানির ৭৩ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৭৩ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন।মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের কিছু অংশের তুলনায়ও এই হার অনেক কম।

এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছে, বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে বেশি সুরক্ষা দিতে সক্ষম। বুস্টার ডোজ দেওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছে ব্রিটেন। তারা তাদের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছে। এই তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের মাত্র ১৮ শতাংশ, জার্মানি মাত্র ৩০ শতাংশ, ফ্রান্স ২৪ শতাংশ এবং ইতালি ২৩ শতাংশ মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন