বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে ও বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকে’র সহযোগিতায় ট্রাস্টিবৃন্দের সম্মাননা প্রদান ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
৬ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসিম কান্তি তালুকদার।
প্রধান অতিথি ছিলেন পঞ্চখণ্ড হরগোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, শিক্ষাবিদ আলী আহমদ । অনু্ষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মো: আব্দুস শুকুর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জিয়া উদ্দিন,বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন দিলু, উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন মুরাদ, উপজেলা ক্রীড়া সংস্হার সহ-সভাপতি আবুল হোসেন খসরু।
এছাড়াও অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আতিকুল ইসলাম ও গৌছ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ের ট্রাস্টিদের সম্মানা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র শিক্ষাবান্ধব উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন- সমাজকে আলোকিত করতে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। এবং এই শিক্ষার আলো ছড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকদের ভূমিকা অপরীসিম। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তখনই উন্নত হয়- যখন প্রতিষ্ঠানের জন্য সকলে সমন্বিতভাবে কাজ করেন।
প্রধান অতিথি বলেন,বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে নিজ অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে অনুকরণীয় উদ্যোগটি অন্যদের জন্য হতে পারে অনুকরণীয়।
অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে তাদের নিজ অঞ্চলের প্রতি দায়বোধের জায়গা থেকে আলোকিত কাজ করেছে । প্রবাস থেকে নিজ অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রেরণাদায়ী সহযোগিতা এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।
বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন দেলু আয়োজকদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষকরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে আমাদের সমাজকে আলোকিত করে যাচ্ছেন। এবং তাদের প্রতি সম্মান দেখানোর অর্থ হলো- মানবিকতার চর্চার ক্ষেত্রটিকে আরও সুপ্রসন্ন করা। শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রেরণা পাওয়া শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে তাদের দেখানো পথেই হাটবে বলে বিশ্বাস করি।