বৃটিশ বাংলাদেশী শীর্ষ স্থানীয় কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, চ্যানেল এস’র চেয়ারম্যান, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকের প্রধান উপদেষ্টা, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কৃতিসন্তান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি গ্রেট ব্রিটেনের সম্মানজনক আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লণ্ডন’ সম্মাননা পেয়েছেন।
৫ অক্টোবর লন্ডনের গিল্ডহলে এক অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এই স্বীকৃতি দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ক্লার্ক টু দি চ্যাম্বারলেইন মুরে ক্রেইগ ‘ডিক্লেরেশন অব দি ফ্রিম্যান’ পাঠ করান ও পরে সম্মননা তুলে দেন আহমেদ উস সামাদ চৌধুরীকে। এতে পরিবার, বিশিষ্টজন ও বিভিন্ন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সিটি অব লন্ডনের কাউন্সিলম্যান মনসুর আলী ও ক্যানারিওয়ার্ফের ডিরেক্টর জাকির খান।
অনুষ্ঠানে ক্লার্ক টু দি চ্যাম্বারলেইন মুরে ক্রেইগের আহবানে ‘ডিক্লেরেশন অব দি ফ্রিম্যান’ পড়তে দেন আহমেদ উস সামাদ চৌধুরীকে। অনুষ্ঠানে লণ্ডনের বিভিন্ন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। পরে সপরিবারে উপস্থিত আহমেদ উস সামাদ চৌধুরীর হাতে সম্মাননাটি তুলে দেন ক্লার্ক টু দি চ্যাম্বারলেইন মুরে ক্রেইগ।
বৃটিশ বাংলাদেশী পাওয়ার হান্ডেডসহ নানা সম্মাননা প্রাপ্ত আহমেদ উস সামাদ ছাত্র জীবনে ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটিতে প্রথম এশিয়ান ছাত্র সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ৯১ সালে সততা, নিষ্ঠা, অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার নিরিখে আহমেদ চৌধুরী বৃটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্য থেকে ‘জাস্টিস অফ পিস’ (জেপি) হিসেবে নিযুক্ত হন এবং বাথ বেঞ্চের একজন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বৃস্টল, বাথ ও লন্ডন এবং সিলেট তথা বাংলাদেশী নানা কমিউনিটি ও চ্যারিটি সংগঠনে সক্রিয় এবং নেতৃত্ব পর্যায়ে যুক্ত। ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নিউ ডিল প্রোগ্রামের উপদেষ্টা। সেইসব সমাজসেবার স্বীকৃতি পেলেন তিনি।
‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন’ সম্মাননা লাভ করে আহমেদু সামাদ বলেন, ‘আমি নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছি। কোনোদিন কোনো পজিশন চাইনি। আমার এই সম্মাননা কমিউনিটির মানুষকে কল্যাণমুলক কাজে উৎসাহিত করবে-এটাই আমার এ্যাচিভমেন্ট। আমি অত্যন্ত মর্মাহত যে, আমার ভাই মরহুম এমপি মাহমুদ উস সামাদ আমার পাশে নেই । তিনি থাকলে আজ খুব খুশি হতেন’।
উল্লেখ্য কিছু কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ছাড়াও এ সম্মানা পেয়েছেন ব্রিটেনের রাজ পরিবারের ১১ জন সদস্য। এদের মধ্যে, রানী এলিজাবেত ও তার মা, প্রিন্স জর্জ-ডিউক অব ক্যামব্রিজ, প্রিন্সেস ডায়না, প্রিন্স চার্লস। এছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল, মার্গারেট থেচার, নেলসন মেন্ডেলা, জাতিসংঘের প্রাক্তন মহসচিব কফি আনানও পেয়েছেন এ পুরস্কার।
আহমেদু সামাদ চৌধুরী পুরস্কৃত হওয়ার পর তার সম্মানে সিটি অব লন্ডন গিলহলে ও পরে হোয়াইট্যাপলের ফিস্ট রেস্টুরেন্টে তাতক্ষনিক দুটি সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন পর্যায়ের কমিউনিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুৃলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় তাকে।