একজন পরিশ্রমী মানুষ মুকিতুর রহমান। ইংল্যান্ডের পশ্চিম মিডল্যান্ডসের ঐতিহাসিক কাউন্ট্রি উস্টারশায়ার থাকেন। প্রকৃতিবান্ধব মুকিতুর রহমানের প্রিয় শখ বাগান করা। সেই শখ কে সুখ ও আনন্দময় করে প্রতিবছর ব্রিটেনের সামার সময়টায় গড়ে তুলেন শাকসবজি ও ফলমূলের বাগান। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
স্থানীয় কাউন্সিল থেকে ভূমি বরাদ্দ নিয়ে কোভিড -১৯ থেকে বের হওয়া সামারে এবারও গড়ে তুলেছেন একটি বড় বাগান।
মুকিতুর রহমানের বাগানে বলা যায় বাঙালি ঐতিহ্যের প্রধান শাকসবজি ও ফলমূল অর্থাৎ বাংলাদেশী লাউ, শশা,ডাটা,ফরাস বা ঝাড়শিম , টমেটো,কজেট,লালশাক,পালংশাক, পিয়াজ, আলু, রানার বিনস,ধনিয়া পাতা ইত্যাদি। এবারের ব্রিটিশ সামারে রোদ-বৃষ্টির লোকচুরি থাকলেও ফলন পেয়েছেন আশানুরুপ বলে জানিয়েছেন মুকিতুর রহমান ।
সৌখিন কৃষকের বাগান থেকে এবার তিনি এখন পর্যন্ত ৩০টি লাউ পেয়েছেন।২০ কেজির মতো পিয়াজ ঘরে তুলতে পেরেছেন। আর প্রায় প্রতিদিন বাগান থেকে তুলেছেন অগুনতি টমেটো , ঝাড়শিম সহ নানাজাতের শবজি।বাগানের আপেল, চেরী ও স্টভেরী ফলনও হয়েছে আশাতীত।
সবজি চাষে কোন রাসায়নিক সার প্রয়োগ করেননি । তবে তাকে প্রতিদিন বাগানের পিছনে দুই থেকে তিন ঘন্টা পরিশ্রম করতে হয়।
ব্রিটেনের যান্ত্রিক জীবনে প্রতিবছর বাগানে নিজের বড় একটি সময় ব্যয় করা কী শুধুমাত্র শখ করে? ৫২বাংলার এমন প্রশ্নের উত্তরে মুকিতুর রহমান হাসি ছড়িয়ে জানালেন, অল্প সময়ের সামরে, বাগান করতে সুখ ও আনন্দের শেষ নেই। চারা রোপন, বেড়ে ওঠা, ফুল ও ফলন ধরার দৃশ্যটি জন্মদেয় এক অন্যরকম অনুভুতির।
তারপর বাগান থেকে ঘরে তোলা। এবং সর্বোপরি নিজের বাগানের শাকসবজি ও ফল যখন প্রতিবেশী আত্নিয় স্বজনদের দিতে পারি- এইসব আনন্দের কথা বলে বুঝানো যাবে না।
সৌখিন চাষী মুকিতুরের বাগানের সবজির মালিক স্বজন –প্রতিবেশীরা !