মঙ্গলবার (৩১ আগষ্ট) আফগানিস্তান ইস্যুতে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন জাস্টিস, পররাষ্ট্র ও ইনটেরিয়র মিনিষ্টারদের ব্রাসেলসে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তারা ঐক্যমতে পৌঁছেছে যে, ২০১৫ সালের মত অবৈধ শরণার্থীদের ইউরোপে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।উল্লেখ্য ২০১৫ সালে এক মিলিয়ন শরণার্থী ইউরোপ প্রবেশ করে। তবে তারা তালিবানদের উত্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমরোধ , নারীদের অধিকার নিশ্চিত, জোট বাহিনীর সহযোগীদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়াবে৷
পাশ্ববর্তী দেশসমূহকে এসব শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়৷ ২০২১ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত রিফুজীদের আশ্রয় প্রদান বাবদ খরচ বহন করবে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন। এতে ৭৯.৫ বিলিয়ন ইউরো বাজেট ঘোষীত হয়। প্রমাণ সাপেক্ষে আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দেয়া হবে পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে। এ ব্যাপারে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন পাকিস্তান, ইরান, কাতার, কুয়েত, আমিরাত, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তানসহ নানা দেশের সাথে আলোচনা করবে।
সকল সীমান্তে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা জোরদারের জন্য ফ্রনটেক্স, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখার ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়।এ ব্যাপারে ১৩ মিলিয়ন ইউরো বাজেট ঘোষিত হয়। সকল দেশগুলোতে আফগান দূতাবাস খোলা রাখবে কিনা সেটা নির্ভর করবে তালেবান সরকারের কার্যক্রম ও পররাষ্ট্রনীতির উপর। সকল আফগানীদের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আশ্রয় আবেদন যাচাই-বাছাই করে দ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বা ডিপোর্টেশনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।