বাংলাদেশে আটকে পড়া দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী কমিটেড রি-এনট্রি কর্মীদের আহবানে “ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি”তে আয়োজন করা হয় এক সংবাদ সম্মেলের। আর এ সংবাদ সম্মেলমনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরাসরি হস্তক্ষেপ আশা করছেন ভুক্তভোগী কোরিয়ান প্রবাসীরা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী কমিটেড রি-এন্ট্রি কর্মীরা ৯০ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে দেশে গিয়ে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর যাবত আটকে আছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ২০০৮ সাল থেকে এমপ্লয়মেনট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) EPS. এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী সংগ্রহ করে আসছে। বাংলাদেশের কর্মীরা বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) এর তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী হিসেবে প্রবেশ করে আসছেন।
বাংলাদেশী কর্মীরা অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করে আসছেন। ইপিএস আইন অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করে কর্মীরা একই কোম্পানিতে ৪ বছর ১০ মাস কাজ করার পর কমিটেড কর্মী হিসাবে বিবেচিত হয়ে দেশে ৩ মাসের অবশ্যিক ছুটি কাটিয়ে পুনরায় সেই কোম্পানিতেই ফিরে গিয়ে আবার কাজ করতে পারেন। সে হিসেবে কমিটেড রি-এন্ট্রি কর্মীরা আজ অবধি ভিসার নানা জটিলতায় আটকে আছেন অনেকে।
৯০ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে এসে রি-এন্ট্রি কমিটেড হিসাবে ৮৬২ জন এবং নতুন ভিসা প্রাপ্ত প্রায় ১১০০ জন কর্মী দেশে আটকে আছেন। করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশ ভিসা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। ২০২১ সালে এসে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে আবার নিষেধাজ্ঞার তুলে নেওয়া হয়। ছুটিতে যাওয়া এবং ফ্যামিলি ভিসা নিয়ে অনেকেই চাটার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে আবার প্রবেশ করেন। সেই সব ফ্লাইট গুলোতে বাংলাদেশ থেকে করোনা পজিটিভ মেডিকেল সার্টফিকেট নিয়ে কোরিয়াতে প্রবেশ করে পুণরায় করোনা পরীক্ষাতে অনেকের পজিটিভ আসায় আবারও উদ্বিগ্ন হয়েছে কোরিয়া সরকার। সেজন্যে আবার ভিসা নিষেধাজ্ঞা মধ্যে রাখা হয়েছে বাংলাদেশিদের । সেই থেকে এখনও পর্যন্ত কোন সুরাহা হতে দেখা যায় নি। দেশে কোরিয়া প্রবাসীরা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় তাদের নিজ নিজ জায়গায় থেকে কতটুকু ভুমিকা রাখতে পারছেন, এখন সবার মাঝে এটাই প্রশ্ন ?