রবিবার (১৫ আগষ্ট) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মেদ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ খালিদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রীস’র সসভাপতি হাজী আব্দুল কুদ্দুস, গ্রীস আওয়ামীলীগ’র ভার-প্রাপ্ত সভাপতি আতিকুর রহমান শেলু, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার, সহ -সভাপতি সামাদ মাতুব্বর, সহ -সভাপতি আলমগীর হোসেন, সহ-সভাপতি আবিদ হানজালা, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক হাওলাদার। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন দাদন মৃধা, রাসেল মিয়া, মুমিন খান, সোহেল হাওলাদার, নান্নু খালাসী, রহিম মোল্লা, কুদ্দুস সিকদার।
এছাড়া, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস, গ্রিস আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী ও আঞ্চলিক সংগঠনও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ সময়, সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে দূতাবাস চত্বরে ‘বিশ্বমঞ্চে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক মাসব্যাপী এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মেদ। এই প্রদর্শনীতে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ ও অসামান্য অবদানের চিত্র তুলে ধরা হয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে যোগদানকারী বিপুল সংখ্যক দর্শকের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে। দূতাবাস চত্বরে আয়োজিত এই প্রদর্শনী আগামী এক মাস দূতাবাসে আগত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। জাতির পিতার গৌরবোজ্জ্বল কর্মময় জীবনের উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টের সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রতীক। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই নন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর বিজ্ঞ রাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি তাঁকে বিশ্বের দরবারে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতার মর্যাদায় আসীন করেছে। তিনি মুজিব জন্মশতবর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির পিতার জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ গঠনে উদ্বুদ্ধ হতে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে আহ্বান জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠানের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী থেকে বাংলাদেশের মানুষ, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীর সুস্হতা ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।