এতে সংগঠনের মহিলা সদস্য ও অন্যান্য সদস্যগনের পত্নীদের স্বহস্তে তৈরী নানা পদের গরম গরম মুখরোচক অথচ সুস্বাদু খাবার (দুপুরের খাবার) পরিবেশন করেন। সেইসঙ্গে দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি সাত ঘন্টার এই মিলনমেলায় সবার নিয়ে আসা নানা ধরনের চা-মিষ্টিসহ হরেক রকমের নাস্তা একের পর এক পরিবেশন অব্যাহত ছিল। এ ছাড়া, গানবাজনা, কৌতুক পরিবেশন ও নানা ধরণের খেলাধুলাসহ মজার মজার প্রতিযোগিতায় মেতেছিলেন সকলেই।
এ সবের পরিকল্পনা, আয়োজন, সমন্বয় ও বাস্তবায়নে সদাব্যস্ত ছিলেন মুনজেরিন রশীদ, ডক্টর রোয়াব উদ্দীন, মোস্তফা কামাল মিলন ও ইকবাল হুসেইন। বিটিএর সভাপতি আবু হোসেন আগত সবাইকে স্বাগত জানান এবং বৃষ্টি অবশ্যম্ভাবী জেনেও এই মিলনমেলায় উপস্থিত হওয়ার মত বদান্যতা প্রদর্শনের জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইকবাল হুসেইন, মুনজেরিন রশীদ, মুজিবুল হক মনি, রুবী হক (মিসেস মুজিবুল হক মনি), সাঈদা চৌধুরী (মিসেস বাসিত চৌধুরী) ও রীপা সুলতানা রাকীব । কৌতুক পরিবেশন করেন ডক্টর রোয়াব উদ্দীন, হাবিবুর রহমান ও কাইয়ুম চৌধুরী। সঙ্গীতায়োজনে সাঈদা চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। উন্মুক্ত জায়গায় শব্দ-যন্ত্রের পুরো ব্যবস্থা ও এর সফল প্রয়োগ এই আয়োজনকে আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত করে তোলে আর এর কৃতিত্বের দাবীদার রুবী হক। বেডমিন্টন খেলার সরঞ্জামের আয়োজন করা, সীমানা আঁকাসহ কোর্ট প্রস্তুত করা এবং খেলা ও প্রতিযোগিতা ইত্যাদি দেখভালের দায়িত্ব সুচারূপে পালন করেছেন ইকবাল হুসেইন, ডক্টর রোয়াব উদ্দিন ও আব্দুল মুক্তাদির। পুরুষদের দৌড়ে গিয়ে বেঁধে রাখা অবস্থায় মোড়ক খুলে শুধু চকোলেটটি নিয়ে ফিরে আসা, পুরুষদের উল্টো দৌড় (পেছনের দিকে), মহিলাদের পাস দ্যা ডলসহ অন্যান্য আরও আনন্দদায়ক প্রতিযোগিতার সমন্বয় ও সেগুলো পরিচালনা করেছেন মুনজেরিন রশীদ আর এতে সহায়তা করেছিলেন মিজ মিজবাহ্ আহমেদ ও শাহীনা চৌধুরী। এছাড়াও এতে সহায়তা করেন মোহাম্মদ শাহজাহান, ডক্টর রোয়াব উদ্দিন ও হাবীবুর রহমান, সবিতা শামসাদ ।
খাবার পরিবেশনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন হাসনা রহমান ও রুখসানা গনি। প্রায় দু’বছর পর একে অপরকে দেখে আবেগে আপ্লুত হন। ঘনিষ্টজনদের মধ্যে অন্যান্য সবার মত স্ত্রী রীপা রাকীবসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুর রাকীব, সাবেক কাউন্সিলার আতাউর রহমান ও প্রেরণাদানকারী বক্তা মশুদ আহমেদের প্রাঞ্জল উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানটির শোভা বর্ধন করে। দিনশেষে সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল বাসিত চৌধুরী শুরু হতে শেষাব্দি অংশগ্রহণসহ দিনটি আনন্দের সঙ্গে কাটানোর দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আর প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব, পরামর্শ, ও অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে নিয়মিতভাবে এ ধরণের আয়োজনের আশ্বাস প্রদান করেন। পরিশেষে সভাপতি আবু হোসেন আবারও এই পিকনিক ও সকলের একত্রিত হওয়ার ক্ষেত্রে নানাভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং বিশেষ করে এর পরিকল্পনা, আয়োজন ও সফল বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা রাখার জন্য সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল বাসিত চৌধুরী এবং মুনজেরিন রশীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এতে অন্যান্যদের মাঝে অংশ নিয়েছিলেন, মন্জুর রেজা চৌধুরী, রেহানা রহমান, জামাল চৌধুরী, শাহ্ ফারুক আহমেদ, জামাল উদ্দিন আহমেদ, মনসুর রশীদ, হাবীবুর রহমান, মোস্তাক চৌধুরী, সেলিনা রহমান ও সাজেদা আহমেদ। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, বিটিএর দু’জন সদস্য হঠাৎ কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার কারণে এই আয়োজনে যোগ দিতে পারেননি।