মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সাথে মিল রেখেই ইতালীতে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে পবিত্র ঈদ উল আজহা।
রাজধানী রোমসহ ইতালীতে প্রায় ৫০ টি উন্মুক্ত খোলা স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এসব স্থানে ৪ থেকে ৬ টি করে জামাতে ঈদের নামায আদায় করেন মুসলমানরা। জামায়াতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি সহ অন্যান্য দেশের মুসলিমরাও অংশগ্রহণ করেছে।
যদিও বর্তমানে দেশটির নাগরিক করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে উদ্বিগ্নের মধ্যে রেখেছে এর মধ্যেই মাস্ক ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এই ঈদের নামাযের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
দেশের করোনা পরিস্থিতি ও বছর ব্যাপী এই মহামারির স্থায়িত্বে প্রবাসীরা বিমর্ষ ও হতাশা গ্রস্থ। যার ফলে অনেকেই এবার কোরবানি থেকে বিরত থাকছেন।
রোমের জাতীয় ঈদ উদযাপন পরিষদের আয়োজনে পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিওতে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে প্রতি ৪৫ মিনিট পরপর মোট ছয়টি জামাতে নামাজ আদায় করা হয়। এছাড়াও রোমের তরপিনাত্তারা, প্রেনেসতিনা, সেন্তসেল্লে, মন্তেভেরদে, মার্কোনী, কর্নেলিয়া, সহ রোমের বিভিন্ন স্হানে এছাড়াও রোমের বাহিরে মিলান, ভেনিস, ভেরনা, নাপোলী, অসংখ্য স্হানে মুসলিম প্রবাসীদের সতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করা হয়।
রোমের জাতীয় ঈদগাহ মাঠে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কাউন্সিলর এরফানুল হক, জাতীয় ঈদ উদযাপন কমিটির আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য সচিব আব্দুর রউফ ফকির, হাজী নূরে আলম, বাংলাদেশ সমিতি ইতালী সভাপতি আফতাব বেপারী, কমিউনিটি প্রবীণ ব্যাক্তিত্ব কে এম লোকমান হোসেন, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালী সভাপতি অলি উদ্দিন শামীম সহ রোমের রাজনৈতিক, আঞ্চলিক, সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে কর্ম দিবস থাকায় বেশির ভাগ প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঈদ উদযাপন বলতে শুধু মাত্র নামাজ পড়েই কাজে যোগদান করেন। ছুটি না পেয়ে যাদের সকালে কাজ রয়েছে তাদের অনেকেই ঈদের নামাজ আদায় থেকে বঞ্চিতও হয়েছেন।