মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা সদরের হলি লাইফ স্পেশালাইজ্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান মৌসুমী কিবরিয়া, সিনিয়র ব্যবস্থাপক বিপুল কান্তি দাস ও হসপিটালের চেম্বার চিকিৎসক নুর নবী রাজুর বিরুদ্ধে প্ররোচিত করে ভর্তি করা এক নারী রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (সিআর-১৫৩/২১) হয়েছে। ২৮ জুন সোমবার বিকেলে মামলাটি করেছেন নিহত নারীর স্বামী মোহন দে। তিনি পৌরশহরের তেলিগুল এলাকার মহানন্দ দে’র ছেলে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০ জুন মোহন দে’র স্ত্রী সুমা রানী দে পারিবারিক কলহে কীটনাশক পান করেন। আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশংকাজনক হওয়াতে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সিলেট যাওয়ার প্রাক্কালে আসামীরা প্ররোচিত করে ভিকটিমকে সুস্থ্য করার আশ্বাসে তাদের প্রাইভেট হসপিটালে ভর্তি করায়। ২০ ঘন্টা আটকানোর পর আসামীরা দ্রুত রোগীকে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র ও ছাড়পত্র চাইলে আসামীরা গালমন্দ ও হুমকি-ধমকি দেয়। এ্যাম্বুলেন্সে সিলেট পৌঁছার পরই রোগীর মৃত্যু ঘটে।
মামলার বাদী মোহন দে অভিযোগ করেন, সিরিয়াস অবস্থা জেনেও আসামীরা আর্থিক ফায়দা হাসিলের অসৎ উদ্দেশে আমার স্ত্রীকে তাদের হসপিটালে ভর্তি করে। ২০ ঘন্টা আটকে রাখায় এবং চিকিৎসায় অবহেলার কারণে তার স্ত্রীর মৃত্যু ঘটেছে। তিনি ন্যায় বিচার পেতে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন।