প্রবাসীদের বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড প্রদানের দাবী এবং ৫ বছর থেকে ১০ বছর মেয়াদী বাংলাদেশী পাসপোর্ট ইস্যুর সিবিপিডির দাবির অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে সেন্টার ফর ব্রিটিশ-বাংলাদেশী পলিসি ডায়ালগ (সিবিপিডির) । ২৫শে জুন শুক্রবার পূর্ব লন্ডনের একটি রেষ্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় বিগত ৮ই মার্চ ২০১৯ লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা আপনাদের মাধ্যমে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাছে দুটি দাবি উত্থাপিত করেছিলাম।
আমাদের উত্থাপিত দাবি দুটি হলো প্রবাসীদের বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড প্রদান এবং ৫ বছর থেকে ১০ বছর মেয়াদী বাংলাদেশী পাসপোর্ট ইস্যু। আমরা আমাদের এই দাবি দুটির সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে প্রবাসীদের কাছে তুলে ধরার জন্য আপনাদের কাছে আবারো হাজির হয়েছি। আমরা এই দুটি দাবিকে সামনে নিয়ে সাধারণ প্রবাসীদের সমর্থন আদায়ের পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করেছি সরকার এবং সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে আমাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরা, পক্ষে সমর্থন আদায় এবং সেই সাথে এর দ্রুত বাস্তবায়ন।
সিবিপিডির উপরোক্ত দাবিগুলোর প্রচারণার অংশ হিসাবে এবং জনমত গঠনের জন্য আমরা ইউকের বেশ কয়েকটি শহর লন্ডন, ম্যানচেস্টার, ওল্ডহাম, স্ক্যানথ্রপ, বার্মিংহাম সহ বিভিন্ন শহরে আমরা সরাসরি, ব্যক্তি এবং সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি এবং আমাদের উপরোক্ত দাবির পক্ষে স্মারকলিপি সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেরণ করতে সকল প্রবাসীদের অনুরোধ করেছিলাম।
আমরা বলেছিলাম আমাদের এই দাবির পক্ষে দল মতের উর্ধে উঠে আমরা কাজ করবো। আপনারা শুনলে খুশি হবেন আমরা বিগত ১২/০৪/২০১৯ তারিখে সিবিপিডির পক্ষ থেকে আনুষ্টানিক ভাবে বাংলাদেশের মাননীয় হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের সাথে ও সাক্ষাৎ করেছি। অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ বৈঠকে সাঈদা মুনা তাসনিম আমাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট মহলে পাঠানোর পাশাপাশি আমাদের দাবির পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালনের ও কথা দিয়েছিলেন।
তাছাড়া ও আমরা আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বিষয়টির প্রতি সরকার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। শুধু সিবিপিডি বললে ভুল হবে আমরা মনে করি বিষয়টি উত্থাপনের পর প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছিলো, সকল প্রবাসীরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছিলেন এবং যার যার অবস্থান থেকে বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছেন।
আপনারা জানেন, আমাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ব্রিটেনের অনেকগুলো সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ও বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুল মোমেন সাহেবের কাছে ও তুলে ধরেছেন। আমরা সিবিপিডির পক্ষ থেকে যারা প্রবাসীদের এই দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে একযুগে কাজ করেছেন সকলকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা খুবই সুন্দর এবং সুচারুরূপে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছেন। আপনারা আমাদেরকে কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন এবং আমরা আপনাদের মাধ্যমে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পেরেছিলাম।
আপনাদের সহযোগিতায় আমরা বিষয়টির গুরুত্ব প্রবাসী, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ সরকার এবং সরকার সংশ্লিষ্টদের কাছে তুলে ধরতে পেরেছিলাম। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরা সম্ভব হতো না এবং এর অগ্রগতি ও ছিলো অসম্ভব।
বিগত ২৯/০৭/২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের মাননীয় নির্বাচন কমিশনার ডঃ রফিকুল ইসলাম বলেছিলেন ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ব্রিটেন প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির। মাননীয় নির্বাচন কমিশনার প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি লন্ডন সহ ব্রিটেনের দূতাবাসের মাধ্যমে ব্রিটেন প্রবাসীদের স্মার্ট ন্যশনাল আইডিকার্ড প্রদান করা এবং প্রবাসীদের ব্রিটেনে বসে বাংলাদেশের নির্বাচনে সরাসরি ভোট প্রদানের ব্যবস্থার ও আশ্বাস দিয়েছিলেন।
তাছাড়া প্রবাস থেকে ভোট প্রদানের প্রচলিত আইনের জটিলতা কমাতে আইন সংশোধনের ও আশ্বাস দিয়েছিলেন। মাননীয় নির্বাচন কমিশনার কথা দিয়েছিলেন বহির্বিশ্বে সিঙ্গাপুরের পর ব্রিটেন হবে দ্বিতীয় দেশ যেখানে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করবে। নির্বাচন কমিশনের একটি প্রতিনিধি দলকে ব্রিটেনে পাঠানোর ও আশ্বাস দিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য করোনা মহামারীর জন্য আমরা আর বিষয়টি নিয়ে আগাতে পারিনি। সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন থেকে ও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করা হয়, (বাংলাদেশের মহামান্য হাইকোর্টের সাম্প্রতিক এনআইডি নিয়ে নির্দেশনা) বিগত ১৪ই জুন ২০২১ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে মাননীয় বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান একটি রিট আবেদনের রুল জারি করার সময় বাংলাদেশে কোর্ট কিংবা থানায় মামলা করার জন্য এনআইডির বাধ্যবাধকতার মৌখিক নির্দেশনা দেন। যা প্রবাসী বিশেষ ভাবে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের মধ্যে শঙ্কা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়। বিগত ২৪ জুন ২০২১ মাননীয় হাইকোর্ট নির্দেশনা লিখিত ভাবে প্রকাশ করেন।
হাইকোর্ট আদালত অথবা থানায় মামলা করার জন্য মোট ৫ টি নির্দেশনা প্রদান করেন যা নিম্নরূপ: প্রথম নির্দেশনা: অভিযোগ/এজাহারে অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, ক্ষেত্রমতে পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
দ্বিতীয় নির্দেশনা: এজাহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে সে ক্ষেত্রে এজাহারকারীকে শনাক্তকারী ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
তৃতীয় নির্দেশনা: বিশেষ বাস্তব পরিস্থিতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নম্বর সহজলভ্য না হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা এজাহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বীয় বিবেচনায় অন্যান্য যথাযথ পদ্ধতি গ্রহণ করবেন।
চতুর্থ নির্দেশনা: আদালত কিংবা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট না থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অভিযোগকারীকে শনাক্ত করবেন। পঞ্চম নির্দেশনা: অভিযোগকারী প্রবাসী কিংবা বিদেশি নাগরিক হলে সংশ্লিষ্ট দেশের পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
সিবিপিডির পক্ষ থেকে মাননীয় হাইকোর্টের এই নির্দেশনা গুলোকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি এই নির্দেশনা গুলো অত্যন্ত যুগোপযোগী এবং বাস্তবতার নিরিখে প্রদান করা হয়েছে। এই নির্দেশনা প্রকাশের পর প্রবাসীদের মধ্যে যে শংকা তৈরী হয়েছিলো আশা করি তা দূর হবে। অর্থাৎ ব্রিটিশ-বাংলাদেশী প্রবাসীরা এখন থেকে ব্রিটিশ পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশের আদালত কিংবা থানায় মামলা করতে পারবেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে জমি কেনা বেচা, ব্যাংক একাউন্ট খোলা কিংবা পরিচালনা, মোবাইল সিম কার্ড কেনা সহ মোট ১২২ টি কাজে এনআইডি কার্ডের ব্যবহারের বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে। আমরা সকারের বাধ্যবাধকতার নির্দেশনার বিপক্ষে নই বরং এই বাধ্যবাধকতার স্বপক্ষে। আমরা মনে করি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ রকম পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে আমাদের দাবি হলো প্রবাসীরা যাতে সরকারের এই ১২২টি পরিসেবা থেকে বঞ্চিত অথবা পরিসেবা নিতে বিড়ম্বনার শিকার না হোন।
প্রবাস থেকে বাংলাদেশে গিয়ে অনেকেই এনআইডি কার্ড নিতে বিড়ম্বনার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাছাড়া এই কার্ড ইস্যুর দীর্ঘসূত্রীতার জন্য অনেকেই প্রয়োজনীয় কাজ সঠিক সময় সমাধান করতে পারেননা। সেজন্য আমরা প্রবাস মিশন থেকে এই কার্ড ইস্যুর দাবি করে আসছি।
আমরা মনে করি হাইকোর্টের এই নির্দেশনা সরকার অনুসরণ করে প্রবাসীদের জন্য খুব সহজে ১২২ টি পরিসেবার দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। অর্থাৎ হাইকোর্টের পঞ্চম নির্দেশনা যদি সরকার অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজে সরকার প্রবাসীদের এনআইডি নিয়ে বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে পারেন।
আমরা সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করেছিলাম বাংলাদেশী পাসপোর্ট এবং নো ভিসার ডাটাবেজ ব্যবহার করে প্রবাসীদের এনআইডি প্রদানের। আমরা বলেছিলাম এতে এনআইডি ইস্যু খুব সহজ হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে এতোদিন বলা হয়েছিলো কমিশন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ডাটাবেজ অর্থাৎ পাসপোর্ট কিংবা নো ভিসার ডাটাবেজ ব্যবহার করে এনআইডি ইস্যু করতে পারবেননা। কমিশনের নিজস্ব ডাটাবেজ লাগবে। যা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন বিশাল অংকের অর্থ এবং সরকারের সদিচ্ছা। আর এই জটিলতা কিংবা টানাপোড়েনের জন্য আমরা মনে করি এতোদিন বিষয়টি আলোর মুখ দেখেনি।
পৃথিবীতে যে সকল দেশে এনআইডি চালু আছে, সেসকল দেশে পাসপোর্ট এবং এনআইডি একসাথে আবেদন করা যায় এবং এক সাথে ইস্যু করা ও হয়। একই ডাটাবেজ ও ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ আমরা ইউরোপের দেশগুলোর কথা বিবেচনা করতে পারি। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি এনআইডি কার্ড বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। সিবিপিডি মনে করে এর মাধ্যমে প্রবাসীদের আরো সহজে এনআইডি প্রদান সম্ভব হবে। অর্থাৎ পাসপোর্ট কিংবা নো ভিসার ডাটাবেজ ব্যবহার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুব সহজে এনআইডি ইস্যু করতে পারবেন।
আমরা প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিনীত আবেদন করছি অনতিবিলম্বে প্রবাসীদের প্রবাস মিশন থেকে এনআইডি কার্ড ইস্যুর পদক্ষেপ গ্রহণের, সেই সাথে অনুরোধ করছি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ১২২ পরিষেবার জন্য এনআইডি কার্ড এর পরিবর্তে প্রবাসীদের জন্য হাইকোর্টের পঞ্চম নির্দেশনা অর্থাৎ বিদেশী পাসপোর্ট অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, পৃথিবীর সকল দেশ এমনকি বাংলাদেশে ও ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের প্রচলন থাকলেও, পাসপোর্ট ডিজিটালে উন্নীত করার সময় পাসপোর্টের মেয়াদ কমিয়ে ৫ বছরে নিয়ে আসা হয়। যা প্রবাসীদের অবর্ণনীয় সমস্যার মধ্যে ফেলেছে। ২০১৯ সালে আমরা যখন বিষয়টি উত্তাপন করি তখন সরকার থেকে বলে হয়েছিলো বাংলাদেশী পাসপোর্ট ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদ বৃদ্বির প্রয়োজনীয় সকল কাজ সম্পাদন করা হয়েছে। আমাদেরকে বলা হয়েছিলো অচিরেই ১০ বছর মেয়াদি বাংলাদেশী পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।
কিন্তু দুৰ্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বিষয়টি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা আপনাদের মাধ্যমে প্রবাসীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে এবং হয়রানি ও দুর্দশা লাঘবে অনতিবিলম্বে ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট ইস্যুর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
আমরা মনে করি আমাদের দাবি ন্যায্য এবং যৌক্তিক। বাংলাদেশ সরকার সবসময় প্রবাসীদের ন্যায্য দাবির গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। কিন্তু আমরা যদি সঠিক ভাবে আমাদের দাবিগুলো উপস্থাপন না করি তাহলে আমাদের এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমরা এই দাবি বাস্তবায়নে সিবিপিডির পক্ষ থেকে দল মতের উর্ধে উঠে সকল প্রবাসীদের যার যার অবস্থান থেকে এই দাবি বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সকল প্রবাসীদের যার যার অবস্থানে থেকে এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন পর্যন্ত এক যোগে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি। বিশেষ ভাবে আমাদের বাংলা মিডিয়া হাউস – লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব, টিভি, ইলেকট্রনিক, অন লাইন এবং প্রিন্ট মিডিয়া যে ভাবে বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন আমরা আশা করবো ভবিষ্যতেও তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সিবিপিডির নেতা ব্যারিষ্টার আবুল কালাম চৌধুরী। ব্যারিষ্টার তারেক চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, ব্যারিষ্টার মোঃ আবুল কালাম, সলিসিটার সহুল আহমদ মকু।