করোনার মৃত্যুপুরী থেকে বের হলেও করোনার ঝুকি মুক্ত হতে পারেনি গ্রেট ব্রিটেন। ঠিক এই সময়ে হয়ে গেল- ইউরো টুয়েন্টি টুয়েন্টি গেইম।
তথ্যমতে, ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড এর মধ্যকার খেলা দেখতে রাজধানী লন্ডনে ২২ হাজার স্কটিশ ফুটবল ভক্ত এসেছিলেন। কিন্ত করোনা সময়ে স্বাস্থ্যঝুকি ও কোভিড -১৯ বিধির কারণে মাত্র দুই হাজার ছয়শত স্কটিশ দর্শক লন্ডনের উইম্বিলী স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছেন।ফলত, লন্ডনের উইম্বিলী ও লেস্টার স্কোয়ারে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার দেশটির ফুটবল ভক্তরা।
স্কটিশ দর্শকরা গ্যালারীতে বসে নিজ দলকে অনুপ্রেরণা দেবার সুযোগ না পেয়ে খোলা মাঠে বড় পর্দায় একটি ‘স্কটিশ দর্শক জোন’ করে দেবার দাবী জানিয়ে ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের কথা মাথায় রেখে তা নাকচ করে দিয়েছিল- লন্ডন মেয়র কর্তৃপক্ষ।
স্কটিশ দর্শকরা নিরুপায় হয়ে লন্ডনের উইম্বিলী, লেস্টার স্কোয়ার ও হাইডপার্কে জমায়েত হয়ে তাদের দলকে সমর্থ জানিয়েছে। আন -অফিসিয়াল স্কটিশ দর্শক জোনে, রাত-দিন চলা ঘুড়ি- ঘুড়ি বৃষ্টির মাঝে দর্শকরা আনন্দে মেতে ছিলেন- নানা ধরণের কোমল পানীয় হাতে নিয়ে।
১৯ জুন শুক্রবার রাত আটটায় কিক অফ হওয়া ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড এর খেলা ড্র হলেও। স্কটিশরা দিন- রাত নিদারুণ কষ্ট নিয়েও বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছেন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
হাজার হাজার বোতল, ক্যান এবং প্লাস্টিকের খাবারের প্যাকেটে-বিস্তৃর্ণ রাস্তা ও সমবেত জায়গার কোন অংশই বলা যায় খালি ছিল না।
কিন্তু স্কটিশরা খেলা শেষে এগুলো মাড়িয়ে, অর্থাৎ সোজা কথায়, পাশকাটিয়ে যায়নি। বৃষ্টিতে ভিজে ,অনেকে কদমার্ত অবস্থায়, দল বেধে, ফেলে দেয়া হাজার হাজার বোতল, ক্যান এবং প্লাস্টিকের প্যাকেট সংগ্রহ করে ইউম্বিলী লন্ডনের আন অফিসিয়াল ফ্যান জুনের জায়গা পরিস্কার করেছেন।
খেলাধুলা সহ সার্বজনীন কাজে স্কটিশরা কাধে কাধ লাগিয়ে কাজ করে থাকে। এটা তাদের জাতিগত ঐতিহ্য । লন্ডনের ইউরো টুয়েন্টি টুয়েন্টি গেইম দেখতে নানা অতৃপ্তির মাঝেও স্কটিশ ফুটবল দর্শকরা আন-অফিসিয়াল ফ্যান জোন পরিস্কার করে, গোটা ফুটবলদুনিয়ার দর্শক সহ অগণন মানুষের মন জয় করেছেন।
ব্রিটেন সহ মূলধারার গণমাধ্যমে তাদের অনুকরণীয় কাজটি ফলাও করে প্রকাশ পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে প্রসংশার কথামালায় যুক্ত হয়েছেন বিশ্বক্রীড়াঙ্গনের সেরা তারকারাও।