করোনা মহামারীর মধ্যেও মোংলা বন্দরে স্বাভাবিকভাবে চলছে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বন্দরে আসছে ভারতীয় লাইটার ও কার্গো জাহাজ। নাবিকরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বিভিন্ন অজুহাতে ঘুড়ে বেরাচ্ছেন মোংলা বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায়।
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারের দেয়া দেশব্যাপি লকডাউন চলছে। এ লকডাউনের মধ্যেও মোংলা সমুদ্র বন্দরের দেশী-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজের পন্য খালাস-বোঝাইয়ের কাজ চলছে যথা নিয়মে। তবে ভারতে করোনা সংক্রমন দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় মহামারী আকার ধারণ করেছে সেখানে।
সেই ভারত থেকে ক্লিংকার, ফ্লাইয়াস, ও চালসহ অনেক পণ্য বোঝাই করে কার্গো ও লাইটার জাহাগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আর পণ্য নিয়ে আসা এসকল লাইটারেজগুলো একমাত্র নৌ-রুট শিপসা নদীর আংটিহারা হয়ে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে এসে নোঙ্গর করে নৌযানগুলোর নাবিকরা। এসময় বাজার ও অন্য অজুহাতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই অনায়াসে চলাফেরা করছে এখানকার মানুষের মধ্যে। পুনরায় বন্দর থেকে ঘষিয়াখালী চ্যানেল হয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
এভাবে অসচেনতাভাবে সামাজিক দুরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা ভাইরাসের ঝুকির মধ্যে রয়েছে মোংলা বন্দরসহ এখানকার বসবাসকারীরা।
ভারত থেকে আসা নৌযানের নাবিকদের মোংলা বাজারে হরহামেসা চলাচলের কথা স্বীকার করে লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন বলেন, ভারত থেকে পন্য নিয়ে আসা নাবিকরা এ বন্দওে নোঙ্গর করছে এবং বাজারে ঘোরাফেরা করছে একথা সত্য, তবে চেষ্টা করছি লাইটার শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের সচেতন করা স্বাস্থ্য সম্মতভাবে চলাচল করার জন্যও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
যে সকল ভারত থেকে আসা নৌযানের নাবিকরা রয়েছে তাদের চাহিদা অনুয়ায়ী সকল খাদ্য সামগ্রী জাহাজে পৌছে দিতে প্রশাসনসহ পৌর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তার সহায়তা করার আশ্বাস দেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান। তার পরেও বন্দরসহ পৌরসভা এলাকাকে করোনার ঝুকি থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
ভারত থেকে আসা নৌযানগুলো মোংলা বন্দরের এ রুট দিয়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি লাইটার ও কার্গো জাহাজ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আর দেশে লকডাইন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ থেকে ৫ শতাধিক কার্গো ও লাইটার জাহার পন্য নিয়ে মোংলা বন্দর হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে গেছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।