সিলেট-ঢাকা মহসাড়কে বাসচাপায় ৩ অটোরিকশা যাত্রী নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন অটোরিকশার চালক ও বাকি দু’জন মা-মেয়ে।
নিহতরা সকলেই অটোরিকশার যাত্রী। নিহতরা হলেন- সিলেটের বিশ্বনাথের পূর্ব চাশনী কাপন গ্রামের রাহেলা বেগম (৫০), তার মেয়ে কামরুন্নাহার শিপা (২২) ও ওসমানীনগরের কুরুয়া গ্রামের অটোরিকশা চালক শামীম মিয়া (৩৫)। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-ঠিকানা জানাতে পারেনি পুলিশ।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সিলেট অংশে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে নিয়মিত। এরমধ্যে ২৬ ফেব্রয়ারি এই মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলারই রশিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত হন ৮ জন।
বুধবারের দুর্ঘটনার ব্যাপারে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে লালাবাজারে হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিাচালিত অটোরিকশাকে চাপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন মারা যান।
নিহতরা সকলে অটোরিকশার যাত্রী এ তথ্য জানিয়ে ওসি বলেন, নিহতদের লাশ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন অটোরিকশা চালক ও বাকীদজন মা-মেয়ে বলে জানতে পেরেছি। তবে তাদের পুরো নাম-ঠিকানা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ঘনঘন দুর্ঘটনা সম্পর্কে হাইওয়ে পুলিশ সিলেট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শেখ মাসুদ করিম বলেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এই মহাসড়কে অটোরিকশাসহ অনেক ছোট যানবাহন চলে। এছাড়া অনেক গাড়ির কাগজ নেই, চালকদের লাইসেন্স নেই। চালকরা প্রশিক্ষিত নন ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞ। যারা আইন জানে তারাও মানতে চায় না। আবার নির্ধারিত ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ও পণ্য নিয়ে চলাচল করে অনেক গাড়ি- এসব কারণে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, এই সড়কে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে রাতের বেলা বা ভোরে। দিনে পুলিশের নজরদারির কারণে গাড়ির গতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু রাতে পুলিশের টহল সীমিত হয়ে আসে। এতে চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে।