বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় বাড়লো, ‘মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না’  » «   গোপালগঞ্জে এনসিপির জনসভায় লোক ছিলেন ২০০ জন : পুলিশ প্রতিবেদনে যা উঠে এলো  » «   আবারও গোপালগঞ্জ যাওয়ার ঘোষণা নাহিদের, সরকার ও এনসিপি’র সমালোচনায় বিএনপি  » «   গোপালগঞ্জে কারফিউ, চলছে ধরপাকড়, সরকারের তদন্ত কমিটি  » «   ‘জুলাই শহীদ দিবসে’ রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে একি লেখা!  » «   নাহিদ-হাসনাতদের এপিসিতে ওঠার ব্যাখ্যা দিলেন এনসিপি নেতা  » «   গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতারা, ‘আমারে মারিস না কেন, আমারে মার’  » «   এনসিপির নেতারা খুলনায়, মাদারীপুরে পদযাত্রা হয়নি  » «   সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়লেন এনসিপির নেতারা, সন্ত্রাসীদের ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা  » «   গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারার পর এখন কারফিউ : বহু হতাহত, ১০ জনের মৃত্যু দাবি  » «   গোপালগঞ্জে হামলা ও প্রতিরোধের মুখে এনসিপির সমাবেশ  » «   স্পেনে অভিবাসন বিরোধী দাঙ্গায় গ্রেপ্তার ১৪  » «   পাকিস্তানের নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালিবানের কার্যক্রম বাংলাদেশে?  » «   ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’—বিএনপির স্লোগানে ‘মাথাব্যথা নেই’ জামায়াতের  » «   ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার  » «  

অসমে বিধানসভা নির্বাচন : সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে এককাট্টা ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি



 ১২৬ আসনবিশিষ্ট বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে অসম রাজ্য প্রধানত দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। রাজ্যে ক্ষমতাসীন সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপি ও তার দোসরদের সম্মিলিত শক্তি মিত্র জোটকে পরাস্ত করতে মহাজোট গঠন করেছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ছয়টি রাজনৈতিক সংগঠন।
সিপিএম, সিপিআই,সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস ও এআইইউডিএফসহ ছয়টি ধর্মনিরপেক্ষ দল নির্বাচনকে সামনে রেখে মহাজোট গঠন করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মিত্র জোটের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এজিপি-বিজেপি জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে প্রথম বারের মতো অসমে ক্ষমতা দখল করেছিল।২০০১ থেকে লাগাতার তিন বার কংগ্রেস শাসনের পর রাজ্যবাসী রুচি পরিবর্তন করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে বিজেপি-এজিপি জোটকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন। কিন্তু বিজেপি যে-সকল প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট আদায় করেছিল, তার ছিটিফোঁটাও পাননি জনগণ!
এদিকে, এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ CAA , ডি-ভোটার, ডিটেনশন ক্যাম্প ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যায় রাজ্যবাসীকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে বর্তমান বিজেপি সরকার। জনগণকে অপদস্থ করার লক্ষ্যে নিত্য-নতুন ফরমান জারি করছে সরকার! রুটি-রোজির চিন্তা বাদ দিয়ে রাজ্যের জনগণকে নথিপত্র জোগাড়সহ নানাবিধ আইনি জটিলতায় সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। কর্মসংস্থান সংকোচিত হচ্ছে। ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য জ্যামিতিক হারে বাড়ছে! পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের মূল্য নিত্যদিন বৃদ্ধি পেয়ে এখন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এমতাবস্থায়, জনগণ পুনরায় পরিবর্তন চাইছেন।
ইতিমধ্যে উজান অসমে ৪৭ টি আসনে ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে গত শনিবার।
১এপ্রিল বরাক উপত্যকায় ভোট গ্রহণ করা হবে। ৬ এপ্রিল তৃতীয় তথা শেষ দফা ভোটগ্রহণ করা হবে। মিত্র জোট ও মহাজোট উভয় শিবির আশাবাদী, তারা সরকার গঠন করবেন বলে।
বিজেপির একটিই কর্মসূচি! আর তা হল, ইসলাম-বিদ্বেষ! গত পাঁচ বছরের উন্নয়নের কোনও খতিয়ান জনসমক্ষে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। তাই, মুসলিম-বিদ্বেষ-ই তাদের নির্বাচনি বৈতরণি পার হতে একমাত্র অস্ত্র! পাশাপাশি, তথাকথিত বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশ নিয়েই তাদের নির্বাচনি প্রচার চলছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন