ফাইল ফটো
কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনে রোজার আগেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম।
তিনি বলেন, ‘তার (পাপুল) সংসদ সদস্য পদ বাতিলের চিঠি পেয়েছি। কোনো সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষিত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই সেখানে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে।’
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘রোজার সময়ে সাধারণত কোনো নির্বাচন করা হয় না। এটাও সম্ভবত দেয়া হবে না। বিষয়টি অবশ্যই আমাদের বিবেচনায় আছে। ঈদের পরে নির্বাচন করলে ৯০ দিন পার হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটা হিসাব করতে হবে। সেক্ষেত্রে রোজার আগেই নির্বাচন করার সম্ভাবনা বেশি। তবে বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংসদ সচিবালয় পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে তার পদ শুন্য দেখানো হয়েছে।
সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘কুয়েতে ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্য নয়। সেই কারণে সংবিধানের ৬৭ (১) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ ২৮ জানুয়ারি হতে তার আসন শূন্য হয়েছে।’
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই তার আসনে সম্ভাব্য উপ-নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছিল। এই আলোচনা জোরেশোরে ওঠে আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী রাজনীতিকদের সক্রিয়তা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায়। সম্ভাব্য উপ-নির্বাচন ঘিরে এলাকায় যাওয়া-আসা শুরু করেন ডজনখানেক মনোনয়নপ্রত্যাশী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির অন্তত ডজনখানেক নেতার অনুসারী আগাম প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। ‘প্রিয় নেতার’ রঙিন ছবিসহ পোস্টার বানিয়ে তারা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
এদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল কবির জগলুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আলী খোকন, বর্তমান কমিটির উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হারুনের রশীদের পক্ষে দলের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা আলাদা ও বিক্ষিপ্তভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় সাঁটানো হয়েছে ওই নেতাদের পোস্টার-ফেস্টুনও।