শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা  » «   ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র ১৫তম প্রকাশনা ও এওয়ার্ড অনুষ্ঠান ১২ নভেম্বর  » «   বিসিএর ১৭তম এওয়ার্ড : উদযাপিত হলো বাংলাদেশী কারি শিল্পের সাফল্য  » «   কবি ফয়জুল ইসলাম ফয়েজনূরের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভালোবাসার আগ্রাসন’র মোড়ক উন্মোচন  » «   লন্ডনে চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্যবাহী মেজবানী ও মিলন মেলা  » «   কাউন্সিল অব মস্ক টাওয়ার হ্যামলেটসের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত  » «   লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো ১১তম মুসলিম চ্যারিটি রান, দেড়শত হাজার পাউন্ডের বেশি সংগ্রহ  » «   লন্ডনে পেশাজীবীদের সেমিনারে বক্তারা : দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাংলাদেশ পূনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে চায়  » «   মুসলিম কমিউনিটি এসোসিয়েশন (এম সি এ) এর সদস্য সম্মেলন সম্পন্ন  » «   সাংবাদিক আব্দুল বাছিত রফির পিতা হাজী মো: আব্দুল হান্নান এর মৃত্যুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক  » «   বাংলাদেশে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সম্পদ সুরক্ষায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে  » «   ইস্টহ্যান্ডস চ্যারিটির উদ্যোগে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কর্মশালায় বিভিন্ন পেশার মানুষের অংশগ্রহণ  » «   হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের  বিরুদ্ধে নীতিহীন কর্মকান্ডের অভিযোগ  » «   সাংবাদিক ক্যারলকে গ্লোবাল জালালাবাদ ফ্রান্সের বিশেষ সম্মাননা প্রদান  » «   গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক জালালাবাদ উৎসব প্যারিস অনুষ্ঠিত  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে। রবিবার একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পর্তুগাল সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধের প্রেক্ষিতে দিবসটি সীমিত পরিসরে পালিত হয়েছে।

সকালে চান্সারি প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দুতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচীর সূচনা করেন। দিবসটি উপলক্ষে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কালো ব্যাজ ধারণ করেন। চান্সারি প্রাঙ্গণ ইতোমধ্যেই ব্যানার, পোস্টার ও বর্ণমালা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছিল।

রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দুতাবাসের সীমিত সংখ্যক কর্মকর্তাকে নিয়ে লিসবন শহরের কেন্দ্রস্থলের Campo dos Mártires da Pátria নামক উদ্যানে অবস্থিত স্থায়ী শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

দুপুরে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চান্সারিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

এরপর মহান শহীদ দিসব ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তাগণ বাঙ্গালির সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতিতে একুশে’র বিশাল অবদানের বিষয়টি তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তার বক্তব্যে ভাষা শহীদানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান ভাষা আন্দোলনে তারুণ্যের নেতৃত্বদানকারী সে সময়ের উদীয়মান রাজনীতিক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি।

তিনি উল্লেখ করেন , শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার সাংবিধানিক স্বীকৃতি অর্জিত হয়। একুশের অনুপ্রেরণাতেই অব্যাহতভাবে পাকিস্তানি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন প্রতিহত করার মাধ্যমে বাঙ্গালী ধাপে-ধাপে তার আত্মপরিচয়, অর্থাৎ বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে খুঁজে পেয়েছিল। এই বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ-ই চূড়ান্তভাবনে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভিত রচনা করেছিল। যারা প্রবাস জীবনে আছেন, রাষ্ট্রদূত তাদের প্রতি আহ্বান জানান, বিদেশীদের কাছে বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতির মহিমাকে তুলে ধরতে আর নিজেদের নতুন প্রজন্মের মাঝে এর চর্চাকে উৎসাহিত করতে।

আলোচনা শেষে, সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পর্বে সমবেতকণ্ঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে একুশের কবিতা আবৃত্তি করা হয়।

এরপর শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার বিদেহী পরিবারের সদস্যগণ এবং ভাষা শহীদগণ ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদগণের আত্মার মাগফেরাত এবং সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের কামনায় মোনাজাত করা হয়।

পরিশেষে, রাষ্ট্রদূত এবং অথিতিগণ মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে চান্সারির প্রদর্শনী কক্ষে আয়োজিত ভাষা আন্দোলন বিষয়ক একটি চিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।

 


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন