নগরীর পতেঙ্গায় বাসের ভেতর গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ( অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড) দিয়েছেন আদালত।
মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন আলিম উদ্দিন কোম্পানি ও হারুন ড্রাইভার। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন জসিম উদ্দিন ও আমিন ড্রাইভার।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৭’র বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ দুই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ২০০৩ সালের ৩ অক্টোবর নগরীর পতেঙ্গা এলাকায়।
নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম মহানগর নিউজকে বলেন, এ মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামির মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু তিনজনের মধ্যে পলাতক এক আসামির নাম ও ঠিকানা সঠিক পাওয়া না যাওয়ায় তাকে সাজা প্রদান থেকে বিরত রেখে খালাস দেওয়া হয়েছে। বাকি দুইজনের প্রত্যেকেরই যাবজ্জীবন সাজা ও এক লক্ষ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আরও এক আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ৩ অক্টোবর কাটগড়ে বাসের ভেতর গণধর্ষণের শিকার হন এক নারী। জামালপুর এলাকার বাসিন্দা ওই নারী পতেঙ্গায় থাকতেন। এ ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারী নিজে বাদী হয়ে পরদিন পতেঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০’র ৯ (৩) / ৩০ ধারায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। পুলিশি তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত দুইজনকে সাজা দিয়ে অপর দুইজনকে খালাস দেন।