বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদ টীম পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ ও ২৪ জানুয়ারী শনি ও রবিবার বার্সেলোনা শহরের একটি হলরুমে প্রবাসীদের মধ্যে কন্স্যুলার সেবা প্রদান করেছে।
সকাল ৯টা থেকে কাতালোনীয়া রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে পূর্ব নির্ধারিত সিরিয়াল অনুযায়ী সেবা নিতে আসেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাস্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকারের নির্দেশনায় দূতাবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান এম হারুন আল রশিদ এর নেতৃত্বে দূতাবাস টীম দু-দিনের সেবা দিতে বার্সেলোনা আসেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা(হিসাব)মো.জাহাঙ্গীর আলম,মো.সাইফুল ইসলাম,ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এএসএম রেজাশাহ পাহলভী,অফিস সহকারী মো.শফিক ইসলাম,কম্পিউটার অপারেটর অর্ণব হোসেন।
দূতাবাস এই দু-দিনে প্রায় এক হাজার প্রবাসীদের মধ্যে বিভিন্ন সেবা প্রদান করেছে। দূতাবাসের সেবাসমূহের মধ্যে ছিল প্রবাসীদের মধ্যে এমআরপি নতুন পাসপোর্ট বিতরণ,পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন গ্রহণ,স্প্যানিশ পাসপোর্টদারী প্রবাসীর নো-ভিসা আবেদন গ্রহণ।এছাড়াও প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাগজপত্র সত্যায়ন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের আবেদন গ্রহণ ইত্যাদি।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান এম হারুন আল রাশিদ জানান, করোনা মহামারীর কারণে স্পেন সরকার জাতীয়ভাবে কোন নিষেধাজ্ঞা প্রদান না করলে, করোনা মহামারীর মধ্যে প্রবাসীদের যাতে হয়রানী হতে না হয়, সে জন্য প্রতি মাসে দূতাবাস এ সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
এ জন্য কোভিড ১৯ সংকট সময়ে সকলের জন্য সেবা নিশ্চিতকরণে বার্সেলোনা কমিউনিটির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের আন্তরিক সহযোগিতার আহ্ববান জানিয়েছে দূতাবাস।
এদিকে বার্সেলোনা তথঅ কাতালোনিয়ার বাংলাদেশী প্রবাসীরা করোনা মহামারী সময়েও স্পেন দূতাবাস তাদের আন্তরিক সেবা কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে যাওয়াতে, স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা রাস্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার ও তার দূতাবাস টীমের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।