জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে পর্তুগাল আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মুজিব।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে না আসতেন তাহলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বহীন থাকত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে তা বঙ্গবন্ধুর নামেই হয়েছে। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগাণ। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা, তাঁর প্রতি আনুগত্য, তাঁর আদর্শের প্রতি আমাদের আনুগত্য। এজন্য সারা বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সংগ্রাম করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধু দেশে না থাকাটা ছিলো বিরাট শূন্যতা। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার পরে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়।
বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে না এলে ‘ আমার সোনার বাংলা’ জাতীয় সংগীত হত না। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগাণ বর্জিত হত এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ এবং গণতন্ত্রের ভিত্তিতে বাংলাদেশের পূণর্গঠন সম্ভব হত না।
১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও মানুষের আত্মতৃপ্তি ছিল না। ছিল না কারো মুখে হাসি। এমনকি বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশে ফিরতে চাননি ভারতে মুক্তিযুদ্ধকালীন আশ্রয়রত বাংলাদেশের শরণার্থীরাও। সবার ভাবনা ছিল বঙ্গবন্ধুর বেঁচে থাকা নিয়ে। আর বেঁচে থাকলে কবে দেশে ফিরবেন সেই প্রশ্ন! ১০ জানুয়ারি ছিলো বাঙালির কাছে বহু কাঙ্খিত, বহু প্রতীক্ষিত। যাঁকে কেন্দ্র করে আর যাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, সেই মহান নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে নতুন করে উজ্জীবিত হয় জাতি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেশে ফিরে আসার কারণেই তাঁর সাহসী কূটনৈতিক তৎপরতায়, বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতের মিত্রবাহিনীকে দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে। স্বাধীন দেশ হিসেবে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি মিলেছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে।
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ওই সময়ে জরুরি ছিল বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন পর্তুগাল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাফিক উল্লাহ, সুইডেন আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ কাশেম, জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি বশিরুল আলম চৌধুরী সাবু, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল হক, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খোন্দকার হাফিজুর রহমান,হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তপন,নরওয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাফিজুর রহমান, ইতালি আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন, গ্রিস আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামাত মাতবর, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কাশেম,সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক খোকন শরিফ, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মহসিন হাবিব ভূইঁয়া,ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল,সুইডেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড:ফরহাদ আলী খাঁন, হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খাঁন, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমান,ফিনল্যাণ্ড আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, স্পেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রিজভী আলম, গ্রীস অাওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বাবুল হাওলাদার, নরওয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান,ইতালি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রসুল কিতন, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ ইউরোপ চ্যাপ্টারের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া ও সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হেদায়েতুল ইসলাম শেলী ,অষ্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি নাহিদা সুলতানা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতি ড: রাববীর আলম,
সাংবাদিক কমরেড খন্দকার, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান মাসুদ,পর্তুগাল আ’লীগ নেতা সেলিম উদ্দিন, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক পর্তুগাল আওয়ামী লীগ ইমরান হোসেন ভূঁইয়া,পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল ফকির, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসাইন, ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আলম জনি, উপস্থিত ছিলেন জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জাহেদুল ইসলাম পুলক,বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দাউদ খাঁন সোহেল,পর্তুগাল আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শফিউল আলম শফি,এন টিভির সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন,পর্তুগাল আওয়ামী লীগের মহিলা নেত্রী সানজিদা মুনা,আবদুলাহ আল মামুন সহ ইউরোপ বিভিন্ন দেশের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।