সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের পর আগুন লেগে যায়। এতে মুহূর্তেই ভস্মীভূত হয়ে যায় মাইক্রোবাসটি। বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মারা গেছেন ৪ জন।
ভোরে হেতিমগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকার মোল্লাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী একটি নোহা মাইক্রোবাস। এতে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগে যায়। মাইক্রোবাস থেকে আগুনটি ছড়িয়ে পড়ে ট্রাকেও। তবে ট্রাকের আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও মাইক্রোবাসটি ভস্মীভূত হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের গোলাপগঞ্জ স্টেশনের পরিদর্শক আলাউদ্দিন মনির বলেন, ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। তবে তারা যাওয়ার আগেই নোহা গাড়িটি জ্বলে ভস্মীভূত হয়ে যায় এবং ট্রাকের পেছনদিকে আগুন জ্বলছিলো। প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাড়িতে আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক ৯৯৯ এ কল দিয়ে গোলাপগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে ডেকে আনেন। তারা এসে নিহতদের উদ্ধার করেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় ৪জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের বারইগ্রামের মৃত কুনু মিয়ার ছেলে রাজন আহমদ (২৭), একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে ও মাইক্রোবাস চালক সুনাম আহমদ (২৬), নিহত অপর একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
এছাড়া মাইক্রোবাসের বিস্ফোরিত সিলিন্ডারের টুকরো পড়ে গিয়ে মেহেদী হাসান (৫) নামে এক শিশু মারা গেছে। সে দুর্ঘটনাস্থলের পাশের বস্তির মঞ্জু মিয়ার ছেলে। দুর্ঘটনার শব্দ শুনে সে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলো।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, নিহতদের মরদেহ ওসমানী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ ও আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।