সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশে ফিরতে আউট পাসের দাবিতে লেবাননের বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বৈধ কাগজপত্র বিহীন প্রবাসীরা দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জড়ো হন দূতাবাসের সামনে।
সে সময় বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে দূতাবাস প্রাঙ্গণ।তাদের দাবী দূতাবাস বা সরকার যেন দেশে ফিরতে আউট পাসের ব্যবস্থা করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে এই অসহায় প্রবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা অমানবিক জীবনযাপন করছেন। দীর্ঘ ১৪/১৫ মাস ধরে লেবাননে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ডলার সংকট সহ করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) সংক্রমণ কারণে লকডাউন বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণ এবং দেশের সরকার গঠনের মত বিরোধ সব মিলে বেসামাল দেশটির প্রবাসীদের উপর প্রভাব পড়ে বেকারত্ব জীবন প্রবাসীদের। অনেকে দেশ থেকে টাকা এনে চলতে হচ্ছে তাদের। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার প্রবাসী । লেবাননের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা অবস্থায় নিবন্ধনের সুযোগ দিয়ে প্রায় আট হাজার প্রবাসী দেশে প্রেরণ করলেও দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপে নাম নিবন্ধন নেয়ার কথা থাকলেও সেটি করছেনা দূতাবাস। তাছাড়া কোন প্রবাসী অভিযোগ নিয়ে গেলে তাদেরকে সহযোগিতা না করে তাড়িয়ে দেয় দূতাবাস বলেন তারা।বিক্ষোভে অংশ নেয়া বাংলাদেশিরা তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আবেদন জানান।
এছাড়াও তারা বলেন, লেবাননে বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা সরকারি হিসাব মোতাবেক লেবানিজ পাউন্ডে তাদের দেশে টাকা পাঠাতে পারলেও শুধু বাংলাদেশি প্রবাসীরা সেই সুযোগ পাচ্ছে না।দেশের রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
বিক্ষোভকারী প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে সে সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) ও দূতালয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বৈধ কাগজপত্র বিহীন প্রবাসীদেরকে প্রেরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার জড়িত, লেবানন সরকারের সমন্বয়, এয়ারলাইন্সের সাথে আলোচনা এবং করোনাভাইরাস সব মিলিয়ে হুট করে কোন কিছু করা সম্ভব নয়।আপনাদের দশ সদস্যের নাম,মোবাইল নাম্বারসহ দাবীতে কি কি আছে সেগুলো উল্লেখ করে দূতাবাস বরাবর লিখিত আবেদন জমা দিতে।যতদ্রুত সম্ভব আপনাদের দাবী পুরনে চেষ্টায় আশ্বস্ত করেন তিনি।