বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনিরা শেখ রাসেলকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালোবাসার নাম।
শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯শে অক্টোবর সোমবার রাজধানী রোমের তরপিনাত্তারায় ইউরোবাংলা রেস্টুরেন্ট শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ ইতালীর আয়োজনে ও সাংগঠনিক সচিব শরিফুল ইসলাম শরিফ এর সৌজন্যে এক আলোচনা সভা, দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমান নাজমুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জামিলুল আরিফ জামিলের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল ওয়াদুদ জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। এবং শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ ইতালীকে সুসংগঠিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করারও আহবান জানান।
এ সময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি আলম মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসিন সাহ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মামুন, প্রচার সম্পাদক বাবলো মিয়া, অর্থ সম্পাদক মুরাদুল ইসলাম ছোটন, ধর্ম সম্পাদক মামুন মিয়া, মহিলা সম্পাদিকা অতসী সাহা, সমাজ কল্যান সম্পাদক বাদল হোসেন, আইন সম্পাদক মোহাম্মদ রানা, এ ছাড়াও রোম মহানগর শাখার সভাপতি মোঃ উজ্জল এবং সাধারন সম্পাদক বেলাল আহম্মেদ সহআরো অনেকেই।
সভায় কার্যকরী পরিষদের সকলের সাক্ষরের মাধ্যমে একজন কে সংগঠন থেকে অব্যহিত দেওয়া হয়। পরে সকল কর্মকর্তার ঐক্য মতের ভিক্তিতে মোঃ রুবেল কে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদে সম্মানিত সহ সভাপতি পদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
শেষে কেক কেটে শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন মসজিদে এ কুবার ইমাম হাফেজ মাওলানা মিকাইল হোসাইন।