সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে মারা যাওয়া রায়হান আহমদ (৩৩) হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সিলেটের সাধারণ ছাত্র জনতা।
আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ‘সিলেটের সাধারণ ছাত্র জনতা’ এই ব্যানারে সড়কে নামেন তারা। প্রথমে তারা সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল সহকারে তারা সিলেটের বন্দর আজার পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে অবস্থান নেন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এই ফাঁড়িতেই রায়হানকে ধরে এনে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা রায়হান আহমদ হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বক্তারা বলেন, রায়হান আহমদ হত্যায় যাদের নাম এসেছে তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার কার্য পরিচালনা করা হোক।
এসময় তারা বেশ কয়েক দফা দাবি জানিয়ে বলেন, ‘হত্যার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সত্ত্বেও কেনো অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। কেনো তাদের মামলার আসামি করা হচ্ছে না। অভিযুক্তরা বাইরে এভাবে ঘুরাঘুরি করতে থাকলে মামলার তদন্ত ব্যাহত হতে পারে।’ তাই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
প্রসঙ্গত, রোববার ভোরে রায়হান আহমদ (৩৩) নামে সিলেট নগরের আখালিয়ার এক যুবক নিহত হন। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরের কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। তবে কাষ্টঘর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে গণপিটুনির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেখান থেকে পুলিশ কাউকে ধরে নিয়ে আসারও প্রমাণ নেই সিসিটিভি ফুটেজে। রায়হান নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারি হিসেবে কাজ করতেন।