শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী  » «   যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রীকে যেসব দাবী জানিয়েছেন  » «   বার্মিংহাম মিডল্যান্ডস বাংলা প্রেসক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত  » «   নাইট্রাস অক্সাইড এর অপব্যবহারের ঝুঁকি কমাতে টাওয়ার হ্যামলেটস এবং কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির সম্মিলিত উদ্যোগ  » «   স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরীর মনোনয়ন নিশ্চিত করার দাবী  » «   মোল্লাপুর ফ্রেন্ডস সোসাইটি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত  » «   টরেন্টো বাংলা পাড়া ক্লাবের ১ম ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত  » «   ফুটবলের ব্যাখ্যাতিত নায়ক  » «   বিলেতে হালাল ব্যবসায় হাবিবুর রহমানের সাফল্য  » «   ইউ‌কে বাংলা প্রেসক্লা‌বের দোয়া মাহ‌ফিল  » «   বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের ‘মোবাইল ক্লিনিক’ সেবা উদ্বোধন  » «   লণ্ডনে গ্রেটার পাতন এসোসিয়েশন ইউকের বর্ণাঢ্য অভিষেক  » «   সুনামগঞ্জ জেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত  » «   ইস্টহ্যান্ডস’র আয়োজনে লন্ডনে বাগান প্রেমীদের মিলন মেলা  » «   লন্ডন বাংলা স্কুল এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

ব্রিটেনের রানির মর্যাদাকর বিশেষ সম্মাননা পেলেন দবিরুল ইসলাম চৌধুরী



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ব্রিটেনের রানির মর্যাদাকর   বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন শতবর্ষী ব্রিটিশ বাংলাদেশি দবিরুল ইসলাম চৌধুরী।

গত রমজানে করোনাভাইরাস  সঙ্কটে দুর্গত মানুষের জন্য তহবিল সংগ্রহ করার স্বীকৃতি হিসেবে রানি এলিজাবেথের জন্মদিনে দেওয়া অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই) খেতাব পেয়েছেন তিনি।

ব্রিটেনের বাংলাভাষী জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এস এর   রামাদান ফ্যামিলি কমিটম্যান্ট নামের একটি চ্যারিটি কাজে তিনি সক্রিয় অংশ গ্রহন করেন।

রমজান মাসে  তার বাড়ির সামনের বাগানে  ৯৭০ দফা হেঁটে চ্যারিটির জন্য ৪ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা) তহবিল সংগ্রহ করেন তিনি। এর মধ্যে এক লক্ষ ১৬,০০০ পাউন্ড দেয়া হয় ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ এনএইচএস-কে। বাকি অর্থ আরও ২৬টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে বিতরণ করা হয়।বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে মহামারীতে বিপর্যস্ত গরিব-দুঃখী মানুষদের খাবারসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজে এই অর্থ ব্যবহার করা হয়।

লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারার   বো এলাকায় বাস করেন শতবর্ষী দবিরুল  ইসলাম। প্রবীন এই ব্যক্তিত্ব ১৯৭১ সালের যুক্তরাজ্য থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও  বাংলাদেশের মানুষের জন্য  তহবিল সংগ্রহ করেছেন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি কে দবিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ব্রিটেনের আরেক শতবর্ষী ব্রিটিশ সেনা টম মুরের নিজের বাড়ির আঙিনায় হেঁটে এনএইচএস অর্থাৎ ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের জন্য ৩৩ মিলিয়ন পাউন্ড সংগ্রহের খবর দেখে অনুপ্রাণিত হন।  এরপর তিনি তার লন্ডনের ফ্ল্যাটের সামনের আঙিনায় হেঁটে মাত্র এক হাজার পাউন্ড তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। তবে ব্যাপক সাড়া পড়ায় তা লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে যায়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার দবিরুল ইসলামের তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাৎকারে দবিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তিনি ব্রিটেনের বাঙালি সমাজ, বয়স্ক সমাজ এবং অভিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে এই ওবিই পদক গ্রহণ করছেন। তিনি জানান, সপ্তাহ দু’য়েক আগে রানির দফতর থেকে ওবিই পদক প্রাপ্তির চিঠি পেয়ে তিনি বেশ অবাকই হয়েছিলেন। “আমরা যখন কোন একটা ভাল কাজ করি তখন বিশেষ কোন প্রাপ্তির কথা মাথায় রাখি না,” বলেন তিনি। “তবু এই স্বীকৃতির জন্য আমি খুবই আনন্দিত।”

এই পদক দবিরুলের জীবনের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ কোন পরিবর্তন আনবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে তার কাজ যদি অন্য কাউকে উৎসাহিত করে তবেই তিনি খুশি হবেন বলে জানান। রানির পদক পাওয়ার পর তিনি যেসব দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত সেগুলোর প্রতি মানুষের সমর্থন আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তার জন্ম ১৯২০ সালের ১ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার কুলঞ্জ গ্রামে। দবিরুল ব্রিটেনে আসেন ১৯৫৭ সালে। লেখাপড়ার পর সেখানে চাকরির পাশাপাশি কমিউনিটির কাজেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। তার স্ত্রী খালেদা দবীর চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুক্তরাজ্য শাখার একজন নেত্রী।

বাঙালি কমিউনিটিতে সুপরিচিত দবিরুল ইসলাম চৌধুরীকে অনেকেই চেনেন কবি দবিরুল হিসাবে। কবিতাপ্রেমী দবিরুল এখনও কোনো সভা-সমাবেশে গেলে স্বরচিত কবিতা পড়ে শোনান। শত শত কবিতা লিখেছেন তিনি। তার লেখা কবিতার বইও প্রকাশিত হয়েছে।

দবিরুলের ছেলে আতিক চৌধুরী জানান, দবিরুল ইসলাম চৌধুরী তার জন্মস্থান সিলেটের দিরাইয়ে বাংলা ফিমেল অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি চ্যারিটির সাথে যুক্ত। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দরিদ্র, অসহায় ও অনাথ মেয়েদের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ভরণপোষণ ও শিক্ষার ব্যবস্থা করে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে মোট ৩২০ জন মেয়ে রয়েছে। এদের উচ্চশিক্ষার দায়িত্ব ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে বলে তিনি জানান।

 


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন