শুক্রবার ৪ হাজার ৩২২ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাজ্যে, যা গত ৮ মে’র পর থেকে সর্বোচ্চ। দেশটিতে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ ‘অবশ্যম্ভাবী’ বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফলে ইংল্যান্ডের উত্তরাংশের বেশিরভাগ এলাকায় লকডাউন দেয়া এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
করোনাভাইরাস মহামারির প্রথম ঢেউ সামলে কিছুদিন আগেই লকডাউন তুলে দিয়েছিল ইউরোপ। মাত্রই গতি ফিরতে শুরু করেছে সেখানকার অর্থনৈতিক কার্যক্রমে। কিন্তু এরমধ্যেই অঞ্চলটিতে আবারও বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। ফলে মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় দ্রুতই বিধিনিষেধ ফিরিয়ে আনার পথে হাঁটছে ইউরোপীয় দেশগুলো।
ইউরোপের মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি ভুগেছে স্পেন। আগামী সোমবার থেকে আবারও লকডাউনে যাচ্ছে দেশটির রাজধানী মাদ্রিদ। স্পেনে ছয় লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৩০ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে মাদ্রিদে আক্রান্তের হার গোটা দেশে গড় আক্রান্তের হারের তুলানায় প্রায় দ্বিগুণ।
মাদ্রিদের গভর্নর চিফ ইসাবেল ডায়াজ আয়ুসো বলেন, এখানে ৩৭টি এলাকা আছে যেখানে সংক্রমণের হার খুব বেশি। গত ১৪ দিনে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজারের বেশি।
মাদ্রিদের এই ৩৭টি অঞ্চলে আবারও লকডাউন জারি করা হচ্ছে। ফলে সেখানকার বাসিন্দারা শুধু কর্মস্থল, স্কুল বা চিকিৎসার জন্য নিজের এলাকা থেকে বের হতে পারবেন। নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে একসঙ্গে সমবেত হতে পারবেন সর্বোচ্চ ছয়জন। সরকারি পার্কগুলো বন্ধ থাকবে এবং রাত ১০টার মধ্যেই সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে।
স্পেনের মতো সংক্রমণ বাড়ছে ফ্রান্সেও। শুক্রবার সেখানে ১৩ হাজার ২১৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, যা মহামারি শুরুর পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড এবং আগের দিনের তুলনায় অন্তত তিন হাজার জন বেশি। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ফরাসি অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মেয়ারও, যদিও শরীরে কোনও উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় মার্সেইল-নাইসের মতো শহরগুলোতে কড়া বিধিনিষেধ ফিরিয়ে আনছে ফ্রান্স সরকার।
এছাড়া, সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে রেস্টুরেন্টের ভেতর খাওয়া-দাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনাবশ্যক ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আইরিশ কর্তৃপক্ষ।