বাগেরহাট জেলার, ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া মাইট কুমরা গ্রামের পোল্ট্রি খামারী মোঃ আরিফ শেখ বিভিন্ন প্রজাতির মুরগী চাষ করে এখন আগের চেয়ে অনেক স্বাবলম্বী হয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত কয়েক মাস যাবৎ ফার্মের ব্যাবসায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। সে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আবারও নতুন করে পোল্ট্রি খামারীরা লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। সরকারী ভাবে এই সমস্ত চাষিদেরকে আর্থিক ভাবে কিছুটা সহযোগীতা করলে তারা এ অঞ্চলের মাংস ও ডিমের চাহিদা অনেকটা পূরণ করতে সক্ষম হবে।
জানা গেছে, উপজেলা ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শতশত খামারী পোল্ট্রি মুরগীর চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু গত কয়েক মাসের করোনা পরিস্থিতির কারনে এ শিল্পে চরম ধস নেমে আসে। তার পরেও পোল্ট্রি খামারীরা হাল ছাড়েননী। তাঁরা শত প্রতিকুলতার মধ্যে থেকেও এ শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন। তারই একজন মোঃ আরিফ শেখ। তিনি গত কয়েকবার তাঁর পোল্ট্রি খামারে বিভিন্ন প্রজাতির মুরগীর বাচ্চা উঠিয়ে চরম ভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তিনি তাঁর ফার্মের তিনটি সেটের ১টিতে ৫হাজার ১শত মুরগীর বাচ্চা তুলেছেন। এর মধ্যে সোনালী ২হাজার ও কক ৩১শত। গত চালানে তিনি মুরগী বিক্রয় করে লাভও করেছেন ভালো।
মোঃ আরিফ শেখ বলেন, চাকুরীর পিছনে না পড়ে থেকে যদি শিক্ষিত বেকার যুবকরা পোল্ট্রি খামারের দিকে ঝুকে পড়েন তবে অনেকের বেকারত্ব ঘুচানো সম্ভব হতো।