বিশ্ব যখন করোনা মহামারিতে আক্রান্ত । মারাত্নক ভাবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক দিয়েও বিধ্বস্ত এবং বিপর্যস্ত । এমনকি, করোনায় প্রাণ হারানোর সংখ্যা কিছুটা কমলেও দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন নিয়ে ভাবছে বিশ্বের অনেক দেশ। ঠিক সেই সময়ে করোনাকে একটি ‘গোপন ষড়যন্ত্র‘ আখ্যা দিয়েছে একদল ব্রিটিশ।
তারা বলছে, ‘করোনা ভাইরাসের নামে বিশ্বজুড়ে গোপনে ‘মিথ্যে এক ষড়যন্ত্র’ সাজিয়েছেন বিল গেটস। করোনা ভাইরাস আসলে কিছু-ই না। এসব মিথ্যে কথা।’
আর এনিয়ে ২৯ আগস্ট শনিবার, ব্রিটেনের লন্ডনের ট্রাফালগাল স্কয়ারে ও ম্যানচেস্টারের মিলস স্কয়ারে ১০ হাজারের বেশি মানুষ বিক্ষোভ করেছে ।
লন্ডনের ট্রাফালগাল স্কোয়ারে বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দল লেবারের সাবেক নেতা জেরেমি করবিনের ভাই পিয়ার্স করবিন ও । এমন উদ্ভট চিন্তাধারার বিক্ষোভ থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে পিয়ার্সকে।
বিক্ষোভকারীতে পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল ট্রাফলগাল স্কয়ার। তবে তাদের কারো মুখে মাস্ক ছিল না। তাদের হাতে ছিল ব্যানার। তাতে নানা রকম স্লোগান লেখা। এতে করোনা মহামারিকে একটি ‘ধাপ্পাবাজি’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। এবং তারা নানা ব্যঙ্গাত্নক শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তারা মনে করেন, বিল গেটস বিভিন্ন দেশের ওষুধ কোম্পানিতে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য অর্থ বিনিয়োগ করছে এবং বাণিজ্যিকভাবে মুনাফা লাভ করছে।
তারা অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার করোনা ভাইরাস নিয়ে বাণিজ্য করছে। জনগণের স্বাধীনতা খর্ব করছে। এ সময় তারা করোনা ভাইরাসের নামে সরকারের ‘মিথ্যার আশ্রয়‘ নেয়া বন্ধ করতে আহ্বান জানান।
এছাড়া করোনা প্রতিরোধে দেয়া নিষেধাজ্ঞা বাতিলেরও দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। তারা করোনাভাইরাস কে ‘শিশুদের ওপর নির্যাতনের একটি অস্ত্র ’ বলেও অভিহিত করেছেন।
পরে বিক্ষোভকারীরা ‘করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারেরও প্রয়োজন নেই’ শ্লোগাণ তুলে ‘স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হও’ শীর্ষক একটি শোভাযাত্রা করে।এ সময় তারা ডাউনিং স্ট্রিট হয়ে পার্লামেন্ট হাউজের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক- ডেভি ইকে।
মেট-পুলিশ বলেছে, ট্রাফালগাল স্কয়ারে নতুন স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
আরও দেখুন :