বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই‘র ইন্তেকাল  » «   ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিয়ানীবাজারে পথচারী ও রোগীদের মধ্যে ইফতার উপহার  » «   ইস্টহ্যান্ডসের রামাদান ফুড প্যাক ডেলিভারী সম্পন্ন  » «   বিসিএ রেস্টুরেন্ট কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এনএইচএস এর ‘টকিং থেরাপিস’ সার্ভিস ক্যাম্পেইন করবে  » «   গ্রেটার বড়লেখা এসোশিয়েশন ইউকে নতুন প্রজন্মদের নিয়ে কাজ করবে  » «   স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের দোয়া ও ইফতার মাহফিল  » «   কানাডা যাত্রায়  ইমিগ্রেশন বিড়ম্বনা এড়াতে সচেতন হোন  » «   ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন ক্যানসারে আক্রান্ত  » «   যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজাবাসীদের সাহায্যার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের অনুদান  » «   বড়লেখায় পাহাড়ি রাস্তা সম্প্রসারণে বেরিয়ে এলো শিলাখণ্ড  » «   মাইল এন্ড পার্কে ট্রিস ফর সিটিস এর কমিউনিটি বৃক্ষরোপণ  » «   রয়েল টাইগার্স স্পোর্টস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন  » «   গোলাপগঞ্জ স্যোশাল এন্ড কালচারাল ট্রাস্ট ইউকে’র সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন  » «   যুক্তরাজ্যবাসি  সাংবা‌দিক সাইদুল ইসলামের পিতা আব্দুল ওয়াহিদের ইন্তেকাল  » «   ইউকে বাংলা রিপোটার্স ইউনিটি‘র নতুন কার্যকরী কমিটির অভিষেক  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

লেবাননের সেই বিষ্ফোরনে আরেক বাংলাদেশির মৃত্যু



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের গুদামে ভয়াবহ কেমিক্যাল বিস্ফোরণে মো. জামাল নামে আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। টানা ২১ দিন স্থানীয় মাউন্ট লেবানন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে আজ সকালে মারা যান তিনি। বর্তমানে মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়াল ছয় জনে।

নিহত জামালের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামে। তার বাবার নাম দুধ মিয়া। তিনি ২০১৮ সালে কোম্পানি ভিসায় লেবানন যান। বিস্ফোরণের সময় সে বৈরুত বন্দর সংলগ্ন ঝিমাইজি এলাকায় একটি পিজা সপে কাজ করছিল। বিস্ফোরণে পিজা সপটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে জামাল মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে তাকে মাউন্ট লেবানন হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ দিন পর আজ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকালে তার মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরের কেমিক্যাল বিস্ফোরণে ৫ বাংলাদেশি নিহত ও শতাধিক বাংলাদেশি আহত হয়। বৈরুতের এই বিস্ফোরণের কারণে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। এছাড়া দেশটির সামগ্রিক অর্থনীতি এক হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ক্ষতির শিকার হয়েছে। বিস্ফোরণের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

বিস্ফোরণের কারণ

ধারণা করা হচ্ছে, বন্দরের একটি গোডাউনে মজুত রাখা ২ হাজার ৭০০ টনেরও বেশি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকেই এ ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা। ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, বিপজ্জনক রাসায়নিক থেকে এ ধরনের দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়।

১৯৪০-এর পর থেকেই সার তৈরিতে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। এটি সাধারণত দলা আকারে থাকে এবং তৈরিতে খরচ বেশ কম। স্বাভাবিক অবস্থায় অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট স্থিতিশীল হলেও উচ্চ তাপমাত্রায় এটি বিস্ফোরিত হতে পারে। এমন বৈশিষ্টের কারণেই খননশিল্পে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে এবং সন্ত্রাসীরা বোমা তৈরিতেও এ রাসায়নিক ব্যবহার করে।অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটেছিল ১৯৪৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। ২ হাজার ৩০০ টন সার বহনকারী একটি জাহাজে ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত ৫০০ মানুষ। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এর প্রভাবে ১৫ ফুট উঁচু ঢেউ সৃষ্টি হয়েছিল এবং জাহাজের দেড় টন (১ হাজার ৫০০ কেজি) ওজনের নোঙ্গরটিকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে ছুড়ে ফেলেছিল।

 


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন