বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথা মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করেছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দূতাবাস সীমিত পরিসরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী কর্মসূচীর আয়োজন করে।
দূতাবাস প্রাঙ্গণে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকীর জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ কর্মসূচীর দ্বিতীয়ভাগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠ শেষে জাতির পিতার জীবনীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আলোচকগণ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এ বর্বর হত্যাকান্ডের প্রতি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধুর একক ও অসাধারণ নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, ৪৫ বছর আগে জাতির পিতা যদি এমন নির্মমভাবে হত্যা কান্ডের শিকার না হতেন তাহলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত বিশ্বের দেশ হিসাবে পরিগণিত হত।
তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম দেশপ্রেশ ও প্রেরণায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে উদাত্ত আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।