লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর মোহাম্মদ রাশেদ নিখোঁজ ছিলেন। তাকে একটি হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রাশেদ, পিতা মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। তিনি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা।
বৈরুত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম)দূতালয় প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, লেবানন প্রবাসী বাংলাদেশী মোহাম্মদ রাশেদ বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন, বৈরুতের পাশের এলাকা জ্বালা জলদ্বীপ হারুন হাসপাতালে শনিবার মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় রাশেদকে। লেবানন প্রবাসী তার খালাতো ভাই ওবায়দুল রহমান জনি রাশেদের লাশ শনাক্ত করেন। বৈরুত বন্দরে গত মঙ্গলবার ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় জাতিসংঘে নিয়োজিত লেবাননে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্যসহ ১০৮ প্রবাসী আহত হন। আহত পপ্রবাসীদের দূতাবাসের সহযোগিতায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। লেবাননে সর্বশেষ পাঁচজন বাংলাদেশি মারা গেছে।
বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় লেবানিজ নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের ১৬০ জন নিহতের পাশাপাশি ৬ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। এমন বিস্ফোরণের জন্য দেশটির সাধারণ মানুষ সরকারের অবহেলাকে দায়ী করে সরকার পতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন লেবাননের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দখলের ঘোষণা দিয়ে গতকাল রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সাথে দফায় দফায় হামলায় একজন নিহতসহ অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিক্ষোভ জনতা দখল করলেও পরে সেনাবাহিনী জনতাকে সরিয়ে দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।