ফাইল ফটো
ইতালিতে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কমে এসেছে। দেশটিতে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমে এলেও এখনো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
করোনাভাইরাস থেকে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় ইতালির বিভিন্ন শহরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি আইন মেনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঈদুল আযহা। জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ইতালিতে ৩১শে জুলাই শুক্রবার ঈদ উল আযহা উদযাপিত হবে।
ভয়াবহতা কিছুটা কমেছে ইউরোপের দেশ ইতালিতে ।আর ভয়াবহতা কাটিয়ে কোরবানি দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইতালির বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস পর ধর্মীয় আয়োজনের অংশ হতে পেরে আনন্দিত স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা ।
করোনা ভাইরাসের কারণে, ঈদের চিরাচরিত আনন্দ নেই কারো মাঝেই। আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিরা ।ঈদ এলেই রাজধানী রোমসহ দেশটির প্রধান প্রধান শহরে তৈরি পোশাকের দোকানগুলোতে প্রবাসীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। এবার তার ব্যতিক্রম।
এবারের ঈদুল আজহায় ইতালির বিভিন্ন শহরে কমপক্ষে ৫০টি স্থানে খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। করোনা ভাইরাসের কারণে এবার সে সংখ্যা খুবই কম । রাজধানী রোমে পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিওর খোলা মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের অনুমোদন পেয়েছে সরকারের কাছ থেকে।
জাতীয় ঈদ উদযাপন পরিষদ অন্যান্য বছরের মতো এবারও এখানে বেশ কিছু ঈদের জামাতের আয়োজন করবে।
সকাল সাতটা থেকে ঈদের জামাত শুরু হবে এবং প্রতিটি জামাতই হবে সংক্ষিপ্ত। সকলকে মাক্স এবং গ্লাভস পড়তে হবে, মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব।