সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাই ইন্টারন্যাশনাল সিটি জামে মসজিদের খতীব, ঈমাম আবু হানিফা রিচার্চ সেন্টারের প্রভাষক, টেকনাফ সমিতি ইউএই’র সভাপতি , কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট আরবি সাহিত্যিক ও ফিকাহবিদ ডক্টর মাওলানা আব্দুস সালাম সাঈদ করিম শারজাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশে ওয়াকফ সম্পত্তির বিনিয়োগ ও উন্নয়ন ( আইনশাস্ত্রের তুলনামূলক গবেষণা ) শাস্ত্রে পিএইচডি গবেষণা শেষে ১৬ জুন’২০ ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ভার্চ্যুয়াল সেমিনারের মাধ্যমে ডক্টরেট ডিগ্রীর স্বীকৃতি প্রদান করেন।
প্রবাসে তাঁর এ সুখ্যাতির জন্য ভিনদেশে পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের মান্যবর কন্সাল জেনারেল ইকবাল হোসাইন খান সহ বিভিন সামাজিক সংগঠন ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা জানান।
উল্লেখ্য ডক্টর সালাম কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে মিশর সরকারের শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে বিশ্ববিখ্যাত আল আযাহার ইউনিভার্সিটি থেকে আরবি ও ইসলামিক শিক্ষা বিষয়ে চার বছরের সম্মান কোর্চ শেষে ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহর শারজাহ ইউনিভার্সিটি হতে প্রশংসনীয় ফলাফলের মাধ্যমে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বছরে তিনি দুবাই ধর্ম মন্ত্রাণালয় কর্তৃক প্রাদেশিক শ্রেষ্ঠ ঈমাম পুরষ্কারে ভূষিত হন। তিনি ‘The Court Divorce in Compare of Bangladesh Muslim Family Law Ordinance’ নামে আরবি ভাষায় অত্যন্ত তথ্যবহুল ও নির্ভরযোগ্য এক সুদীর্ঘ সাহিত্য রচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে কৌতুহলের সৃষ্টি করেন।
তাঁর এ অসামান্য অবদানের জন্য শারজাহ প্রদেশের শাসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর শেখ সুলতান বিন মুহাম্মদ আল কাসেমী বিশেষ পুরষ্কারে ভূষিত করেন। তাছাড়াও তিনি বিশ্ববিখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ আল্লামা ছৈয়দ আবুল হাছান আলী নদভী (রঃ) জীবন কর্মও চিন্তা ধারা নিয়ে আরবি সাহিত্য রচনা ও বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ‘জীবন পথের দিশা’ নামক বইয়ের আরবি অনুবাদ সহ বিভিন্ন আরবি পত্রিকা ও সাময়িকীতে প্রবন্ধ লিখে থাকেন।
কর্মজীবনে তিনি দুবাই ধর্ম মন্ত্রাণালয় (আউক্বাফ) পরিচালিত ঈমাম আবু হানিফা রিচার্চ সেন্টারে শিক্ষকতার পাশাপাশি দুবাই ইন্টারন্যাশনাল সিটি জামে মসজিদে খতীবের দায়ীত্ব পালন করছেন। চার কন্যা সন্তানের জনক ডক্টর সালাম কৃতিত্বময় শিক্ষা ও দ্বীপ্তিময় কর্মজীবনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে অত্যন্ত পরিচিত একটি মুখ।