সিলেট নগরীতে ভারী বর্ষণের ফলে পানি জমে নগরীর অধিকাংশ রাস্তা এখন পানি কবলিত। অবিরাম বৃষ্টিতে অনেক অফিস-দোকান,বাসা-বাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে পানি জমে গাড়ী চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় অফিসগামীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। সিলেট নগরী যেন পরিণত হয়েছে জলাবদ্ধতার নগরীতে।
শনিবার (১১ জুলাই) সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি। দীর্ঘ সময় চলতে থাকে ভারি বর্ষণ। ফলে করোনার মধ্যেও যারা ঘরের বাইরে বেরিয়েছেনে জীবন-জীবিকার তাগিদে তারা অনেকটা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন জলাবদ্ধতা আর যানবাহন সংকটে। যানবাহনের স্বল্পতায় অনেকেই জলাবদ্ধতা মাড়িয়ে হেঁটেই যাচ্ছেন কর্মস্থলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকাল থেকে টানা বর্ষণের ফলে শহরের অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আর শহরতলীর কোথাও কোথাও হাঁটু পানি। এ অবস্থায় গন্তব্যে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে বেশীরভাগ কর্মজীবি মানুষের। সকাল থেকেই নগরীর তালতলা,পাটানটুলা, বাগবাড়ি, সুবিদবাজার ও জিন্দাবাজারের কিছু কিছু সড়কে এই জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা গেছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে নগরীতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি ছড়া এবং ড্রেন দিয়ে প্রবাহিত না হওয়ায় দেখা দিচ্ছে নগরীতে তীব্র জলাবদ্ধতা।
চৌকিদেখী থেকে কর্মস্থল জিন্দাবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন জালাল,তিনি হাঁটতে হাঁটতে বলেন প্রতিদিন সময় মতো কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারলেও তীব্র বৃষ্টির কারণে গন্তব্যে যেতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তিনি আরো জানান, যানবাহন সংকট থাকায় তাকে আম্বরখানা থেকে হেঁটে আসতে হচ্ছে কর্মস্থলে। এক্ষেত্রে জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকা অনেক ড্রেনের স্লেভ না থাকায় পড়তে হতে পারে যেকোন দুর্ঘটনার কবলে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, আরো ১০ দিন সিলেট অঞ্চলে একটানা বৃষ্টিপাত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আজ শনিবার এবং আগামীকাল রোববার খুব বেশী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সিলেটে। তিনি আরো জানান, আগামী ১৮ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় সিলেট জেলার মধ্যে জৈন্তাপুর এবং সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে বিশম্ভরপুরে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশীই বৃষ্টিপাত হবে বলে জানান তিনি।