মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পলিথিন আটকের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭ জন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে পৌর শহরের গাজিটেকা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার প্রশাসন পৌর শহরে প্রায় ৭০ মণ নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করে। পলিথিন উদ্ধারের এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের একপক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করে। এর জেরে পলিথিন ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট জোটবদ্ধ হয়ে প্রশাসনকে তথ্য দিয়েছেন সন্দেহ করে শহরের চৌমুহনী এলাকায় শামীম আহমদ (৪৫) নামের এক ব্যক্তির ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। শামীম আহমদের উপর হামলার খবর পেয়ে তার স্বজনরা ঘটনাস্থলে গেলে বেলা ১টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে সকালে আহত শামীম আহমদের ভাই জসিম উদ্দিন (৪০), এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম কাজল (৫৫), তানভির আহমদ (২৫) ও রায়হান আহমদ (২০), অপর পক্ষের আফসান আহমদ (২২), মিছবাহ (২৮), নুরুল ইসলাম (২৬), মান্না (২৩), শাহিন আহমদ (২৮), আবুল হোসেন (২৫) সহ উভয়পক্ষের প্রায় ১২ জন আহত হয়েছেন। উভয় পক্ষের আহতদের ৭ জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এছাড়া সংঘর্ষের খবরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হককে সাথে নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, ‘গত বুধবার কয়েকজন পলিথিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করা হয়। এই ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দোষারোপ করছিল বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। তথ্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে সকালে গাজিটেকা গ্রামে একপক্ষ একজনকে আহত করে। এ খবরে গ্রামের দুটি পক্ষ বেলা ১টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায়। এছাড়া ওই গ্রামের মধ্যে পূর্বে থেকে মনোমালিন্য চলছিল। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের প্রায় ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’