বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদ টীম পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২৬,২৭ ও ২৮ জুন,শুক্র,শনি ও রবিবার কাতালোনীয়া রাজ্যের বার্সেলোনার বাংলাদেশি অধ্যুষ্যিত এলাকা সান্ত পাও রোডের একটি হলরুমে কন্স্যুলার সেবা প্রদান করেছে।
সকাল ৯টা থেকে কাতালোনিয়া রাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী নারী,পুরুষ,শিশু সেবা নিতে ভিড় জমান হলরুমের বাইরে ।
কোভিড ১৯ এর জন্য দীর্ঘ প্রায় চার মাস দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ ছিল ।মাদ্রিদ থেকে বার্সেলোনার দূরত্ব প্রায় ৭৫০ কিঃমিঃ। সে জন্য দুতাবাস বার্সেলোনায় এসে সেবা দেয়া সম্ভব হয়নি ।দীর্ঘ চার মাস সেবা বঞ্চিত হয়ে শত শত প্রবাসীদের পাসপোর্টের মেয়াদ চলে গেছে । ফলে প্রবাসীরা বিভিন্ন কাজ নিয়ে জড়ো হোন সেবা নিতে । এসময় একসাথে এতো বেশী মানুষের সমাগম হওয়াতে কিছু উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার সৃস্টি হয়।
তবে দূতাবাস কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায় সেবা গ্রহীতারা সেবা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বার্সেলোনা প্রবাসীদের সেবায় হাইকমিশন সর্বাত্ন চেষ্ঠা চালাচ্ছে। স্বল্প পরিসরে এবং সীমাবদ্ধার মাঝেও এই কনস্যুলার সেবা প্রদান সহ সকল ধরণের সহযোগিতায় হাইকমিশন প্রবাসীদের পাশে থাকবে বলে ৫২বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান এম হারুন আল রাশিদ
করোনা সময়ে স্পেন দূতাবাস প্রবাসীদেরকে সাধ্যমতো অর্থনৈতিক সহযোহিতা করেছে। এছাড়াও করোনাকালীন সংকটময় সময়ে স্পেন দূতাবাস সব সময় পাশে থাকার কথা আবারও পূনব্যক্ত করেছেন মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান এম হারুন আল রশিদ।
প্রবাসীদের ধৈর্যধারণ করে কঠিন সময় পার করতে এক অপরের প্রতি সহযোগিতা ও সহর্মিতা রেখে চলা জরুরী বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিন দিনের সেবা দিতে আসেন মাদ্রিদে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান এম হারুন আল রশিদ এর নেতৃত্বে দুতাবাসের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রথম শ্রম সচিব মো.মুতাসসিমুল ইসলাম,দূতাবাস কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল ইসলাম,এএসএম রেজাশাহ পাহলভী ও অফিস সহকারী মো.শফিক ইসলাম।
দূতাবাসের সেবাসমূহের মধ্যে ছিল প্রবাসীদের এমআরপি নতুন পাসপোর্ট বিতরণ, নতুন আবেদনকারী এমআরপি’র এনরোলমেন্ট ,পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন গ্রহণ,৬ বছরের কমবয়সী বাচ্চাদের এমআরপির আবেদন গ্রহণ,মোবাইল ইউনিটের মাধ্যমে নতুন পাসপোর্টের আবেদনকারীর ছবি, ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ,স্প্যানিশ পাসপোর্টধারী বাংলাদেশী নাগরিকদের নো-ভিসা আবেদন গ্রহণ,ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য পূরনের আবেদন এছাড়াও প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাগজপত্র সত্যায়ন এবং প্রবাসীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর আবেদন গ্রহণ ইত্যাদি।
এদিকে দুতাবাস টীমের সেবা পেয়ে প্রবাসীরা দূতাবাসের প্রশংসা করেছেন। বার্সেলোনা প্রবাসীদের দাবী ইতিমধ্যে স্পেন দূতাবাসের সুপারিশ অর্থাৎ বার্সেলোনায় একটি স্থায়ী কনস্যুলার সেবা কার্যালয় প্রতিষ্ঠা দ্রুত কার্যকর করা হোক।