ব্রিটেনের শহরগুলোতে প্রাণস্পন্দন শুরু হয়েছে।ইতিমধ্যে কিছু কিছু দোকানপাট খোলেছে। নিয়ন্ত্রণ উঠেছে অনেকে ক্ষেত্রে। সোশিয়েল ডিসেটেন্সিং ২ মিটার থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে আগামী ৪ জুলাই থেকে ব্রিটেন অনেকটা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ৪ জুলাই ব্রিটেনের রেষ্টুরেন্ট-পাব খোলে দেয়া হচ্ছে।অর্থাৎ ব্রিটেনে অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে বলে মনে করছেন সাধারন মানুষ।
এ যখন ব্রিটেনের করোনা ভাইরাসের সার্বিক অগ্রগতি, এ সময়ে ইস্ট মিডল্যান্ডে দেখা দিয়েছে নতুন আতংক। ইস্ট মিডল্যান্ডের লেস্টার শহরে গত ২৩ জুন পর্যন্ত দুই সপ্তাহে ৯৪৪ জন করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। দেখা গেছে, শুধুমাত্র এ শহরেই আক্রান্ত রােগীরা ব্রিটেনের মোট আক্রান্তদের ১৬ ভাগের এক ভাগ।
দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেজন্য হেলথ সেক্রেটারী ম্যাট হ্যানকক শুধুমাত্র এ শহরটিতে রেড এলার্ট জারী করে নতুন করে লকডাউনের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।শহরটিতে করোনা ভাইরাসে ১৮ বছরের নিচের বয়সি মানুষের আক্রান্তের সংখ্যা অধিক বলে হেলথ সেক্রেটারী তাঁর বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সেকারনে আগামী শনিবার সারা দেশে রেষ্টুরেন্ট-পাব বা অন্যান্য দোকান পাট খোলে দেবার নির্দেশনা থাকলেও এ শহরটি এর আওতায় পড়ছে না। সোমবার পার্লামেন্ট অধিবেশনে তাই লেস্টারের মানুষদের আবারও ‘স্টে হোম’ নির্দেশনার আওতায় থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এই নির্দেশনার বাইরে কেউ গেলে কোন কোন ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগ করা হবে বলেও হুশিয়ারী উচ্চারন করা হয়েছে।
ম্যাট হ্যানকক উল্লেখ করেছেন ৩০ জুন মঙ্গলবার থেকে অন্তত দুই সপ্তাহ এই লকডাউন বলবৎ থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউনের পরবর্তী পর্যায় দুই সপ্তাহ পরে জানানো হবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত ৪৩,৫৭৫ জন লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সূত্রঃ বিবিসি