করোনা ভাইরাসের এসময়ে ইউরোপের নিরাপদ রাষ্ট্রের তালিকায় নেই মার্কিন, ব্রাজিল আর চীনা নাগরিকেরা ।পয়লা জুলাই থেকে ইউরোপে ১৪টি ‘নিরাপদ’ রাষ্ট্রের নাগরিকেরা প্রবেশ করতে পারবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ তালিকা থেকে বাদ গেছেন মার্কিন, ব্রাজিল আর চীনা নাগরিকেরা।নিরাপদ দেশের তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, মরক্কো এবং দক্ষিণ কোরিয়া।কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ইইউ এই তালিকায় চীনকে অন্তর্ভূক্ত করবে, যদি চীনের সরকারও একই ভাবে ইউরোপীয় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়।ইউরোপের নাগরিকদের জন্য ইইউয়ের সীমান্ত কড়াকড়ি তুলে নেয়া হয়েছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পরামর্শ মেনে অধিকাংশ দেশ ১৫ জুন থেকে তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে। বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি ও তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ ও যেসব কর্মকর্তারা সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতেন তারা ও আর থাকছেন না। এর আগে গত ১৭ মার্চ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়াছিল জার্মানি ।
১৯৪৪ সালের ৬ জুন হিটলারের নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে একযোগে হামলা চালিয়েছিল মিত্রবাহিনী। ইতিহাসে সেই দিনটি ‘ডি-ডে’ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি ডি মাইয়ো বলেছেন, ১৫ জুন থেকে জার্মানি ইউরোপের ৩১টি দেশের সঙ্গে সীমান্ত খুলে দিলে দিনটি ইউরোপের পর্যটন শিল্পের জন্য ‘ডি-ডে’-র মতোই হবে।
ইউরোপের সরকারগুলো নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে নিচ্ছে যে কখন এবং কীভাবে সীমান্ত খুলে দেয়া যায় ।করোনা সংকটকালীন সময়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি চতুর্থবারের মত জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রদান করেছেন। এ সময় তিনি বার, রেস্টুরেন্টসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা করেন। একই সাথে বিমানবন্দরগুলো ও সীমান্ত খুলে দেয়ার কথা বলেছেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কিংবা স্থানীয় ফ্লাইটগুলো নির্ভর করবে অন্যান্য দেশের উপর। ব্রিটিশ পর্যটকদের জন্য ব্রেক্সিট চুক্তির আলোচনার অধীনে নতুন নিয়মে করা হয়েছে।৩১শে ডিসেম্বর ব্রেক্সিট হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হবার আগ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারা ইউরোপের নাগরিকের সমান মর্যাদাই পাবেন।যে কারণে সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না ব্রিটিশ নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।দেশগুলো অবশ্যই মানুষের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও মহামারীতে আর্থিক ক্ষতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে এবং ইউনিয়নের নির্দেশনা মেনে চলবে এমনটি ইউরোপের নাগরিকরা মনে করে ।