সদরঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গার শ্যামবাজার এলাকায় ময়ূরী -২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিংবার্ড ডুবে মৃত্যু বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ছাড়া আরও অনেক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার হায়াৎ ইবনে সিদ্দক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে ২ জন শিশু ৫ মহিলা ২৩ পুরুষ। একটি ভালো ফলাফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি। সোমবার (২৯ জুন) সকাল দশটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে ময়ূরী দুই লঞ্চটি মেরামতের পর বুড়িগঙ্গা নদীতে নামানো হয়। ওই সময়ে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাটপট্টি ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরছিল। ময়ূরী সরাসরি পেছনদিকে মর্নিংবার্ডকে ধাক্কা দিলে সাথে সাথে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় কয়েকজন যাত্রী দ্রুত সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা লঞ্চের মধ্যে আটকা পড়ে ডুবে যায়।
লঞ্চডুবির পর সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌ বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। সঙ্গে বিপুল সংখ্যাক স্থানীয় মানুষ সহায়তা করছে। তবে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে রওয়ানা দেয়া বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ এখানো পৌঁছায়নি।
স্থানীয়রা জানান, লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার পর বেশ কিছু যাত্রী সাতরে নদীর কিনারে উঠতে সক্ষম হয়। তবে বেশিরভাগই উঠতে পারেনি। কতজন উঠতে পারেনি তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি কোনো কর্তৃপক্ষ।
লঞ্চডুবির পর সেখানে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনীর ডুবুরি এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পরপর তারা লাশ তুলে আনছেন।
রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় মৃত পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে দেয়া হবে। এছাড়া লাশ দাফনের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ।
তিনি জানান, এছাড়া সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।