ভারতের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে বাড়তে শুরু করেছে সুরমা নদীর পানি। এতে প্লাবিত হতে শুরু করেছে নিম্নাঞ্চল। ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়ক। ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে সুরমা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ শহরের নদী তীরবর্তী নবীনগর, ষোলঘর, কাজিরয়েন্টে, উকিলপাড়া, উত্তর আরপিননগর, তেঘরিয়া ও পশ্চিমবাজার এলাকায় জলাবদ্ধাতা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার অনেক সড়কে জলাদ্ধতার কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ।
শহরের কাজির পয়েন্ট এলাকার সালেহ মিয়া বলেন, এমনিতেই করোনার কারণে ঘরবন্দি, তার উপর আবার ঘরে পানি ওঠার উপক্রম। মূল সড়কে পানি ওঠায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।
শহরের আরপিননগর এলাকার ইমামুল হোসেন বলেন, সুরমা নদীর পানি বাড়লেই আমাদের এলাকার মানুষ বিপাকে পড়ে। সড়ক উপচে পানি ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়ে। শনিবার সকালেও এলাকার অনেক ঘরে পানি ঢুকে গেছে। পানি নিষ্কাশনে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, ভারতের মেঘালয়-চেরাপুঞ্জিতে গত ৭২ ঘণ্টায় ৯০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ। এ কারণে সুনামগঞ্জেও বৃষ্টি হচ্ছে ও পাহাড়ি ঢল নামছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে। বন্যা হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।
সূত্রঃ জাগো নিউজ