শনিবার (২০ জুন) অমোনিয়া স্কয়ারে ছাত্র ইউনিয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন ও বিভিন্ন রিফিউজি সংগঠন এর উদ্যোগে অভিবাসীদের বৈধকরণ সহ সকল সুবিধা আদায়ের দাবীতে এক বিশাল আন্দোলনে কেঁপে উঠেছে গ্রীস।
অভিবাসী ও শরনার্থীদের উচ্ছেদ,বাসস্থান ব্যবস্থা,গ্রীক সরকারের সাম্প্রতিক প্রশ্নবিদ্ধ আইন,এস্যাইলাম আইন শিথিলকরণ,সীমান্ত সমাধান এবং বৈধতার দাবীতে এই আন্দোলনে স্থানীয় গ্রীক জনগণ এবং বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের ঢ্ল নামে এই বিক্ষোভে।গ্রীক সময় দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ সংসদ ভবন সিনটাগমা পর্যন্ত গিয়ে থামে।
বিভিন্ন রিফিউজি সংগঠন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই আন্দোলনে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের দেখা গেলেও, বাংলাদেশি অভিবাসীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। হাজারো বাংলাদেশিকে দেখা গেছে সম্মিলিতভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এতে।
গ্রীসের ইতিহাসের এরকম আন্দোলন খুব বেশি দেখা না গেলেও সাম্প্রতিক গ্রীক সরকারের শরনার্থী ও অভিবাসীদের বিপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ আইনকরণ,এস্যাইলাম কঠোরতা,সীমান্ত বন্ধ এবং শরনার্থী শিবির থেকে উচ্ছেদকরণের ফলে প্রতিনিয়ত আন্দোলন হচ্ছে এবং আগামীতে আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে।
‘গ্রীস কেরফা’ একটি রাজনৈতিক সংগঠন। যদিও রাজনৈতিক সংগঠন তবে অনেকেই মনে করেন, সাংগঠনিক ভিত্তি বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের মতও নয়। এদিকে বিশার এই বিক্ষোভের কিঙবা আন্দোলনের পেছনে অন্য কোন শক্তি কাজ করছে কি-না, তা দেশটির কেউ কেউ মনে করছে।সেজন্য তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থা।